নিজস্ব প্রতিবেদন- আন্তর্জিতক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন এম এস ধোনি। তাঁর এই আচমকা অবসর সবাইকে চমকে দিয়েছে। তবে যাঁরা ধোনিকে চেনেন, জানেন তাঁদের দাবি, মাহি এভাবেই অবসর ঘোষণা করত। চাইলে অনায়াসে জীবনের শেষ ম্যাচ খেলে অবসর ঘোষণা করতে পারতেন ধোনি। কিন্তু তিনি সেটা করেননি। চুপিসারে মাত্র কয়েকটা শব্দ লিখে ১৬ বছরের ক্রিকেট কেরিয়ারে দাড়ি টেনে দিয়েছেন। এমন একখানা কঠিন সিদ্ধান্ত এত সহজে নেওয়াটা হয়তো ধোনির পক্ষেই সম্ভব। ধোনির অবসরের পর শুধু ক্রিকেট সার্কিটেই নয়, অন্য ক্রীড়াক্ষেত্রেও হাহাকার। আসলে করোনার জন্য টি-২০ বিশ্বকাপ পিছিয়ে যাওয়ায় ধোনি অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ধোনির ম্যানেজারের দাবি তেমনই। না হলে অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ খেলেই অবসর ঘোষণা করতেন ধোনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ক্রীড়াজগতের একের পর এক তারকারা ধোনি-বন্দনা করছেন। সবার একটাই কথা। মাঠে এমন মাথা ঠাণ্ডা ক্যাপ্টেন ভারতীয় দল আর পাবে কি না সন্দেহ। ধোনিক শান্ত মেজাজই তাঁকে আর পাঁচজনের থেকে আলাদা করেছিল। চাপের মুখে ভেঙে পড়েননি কখনও। নিজের প্রচারের থেকে দলের স্বার্থ তাঁর কাছে সব সময় আগে ছিল। দেশের হয়ে ক্রিকেটে সমস্ত মেজর ট্রফি জিতেছেন। ক্রিকেট থেকে আর তাঁর কী পাওয়ার ছিল! তবুও দেশবাসী ধোনিকে মিস করবে বলে মনে করছেন টেনিস সুন্দরী সানিয়া মির্জা। তাঁর দাবি, ধোনির ব্যক্তিত্ব তাঁকে সবার থেকে আলাদা করে রেখেছিল। যথার্থই তাঁকে ক্যাপ্টেন কুল বলা হয়। সানিয়া এদিন আরো বলেন, ধোনিকে মাঠে দেখলে তাঁর স্বামী শোয়েব মালিকের কথা মনে পড়ে।


আরও পড়ুন- দেশকে বিশ্বকাপ জেতানো ক্রিকেটার এখন বাজারে বসে সবজি বিক্রি করেন


সানিয়া মির্জা বলেছেন, ''ধোনির সঙ্গে শোয়েবের অনেক দিকে মিল রয়েছে। ওরা দুজনেই মাঠে খুব শান্ত থাকতে পারে। তা ছাড়া দুজনের ব্যক্তিত্বে অনেক মিল রয়েছে। ধোনির মতো শোয়েবও দেশের জন্য সব করতে পারে। আসলে দেশের প্রতি ওদের দুজনের শ্রদ্ধা ও আনুগত্য ওদের আর পাঁচজনের থেকে আলাদা করে রেখেছে। মাঠে ধোনিকে দেখলে আমার শোয়েবের কথা মনে পড়ে। ধে্ানি চাইলে একটা ম্যাচ খেলে অবসর নিতে পারত। কিন্তু ও দূরে থেকেই অবসর ঘোষণা করল। আসলে বরাবরই প্রচারবিমমুখ থেকেছে ও। দেশ ও দলের কথাই সবার আগে ভাবে ও।''