হরভজনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মহাসমস্যায় পাকিস্তানের সাকলাইন মুস্তাক
আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করায় ভাজ্জিকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন সাকলাইন। জবাবে হরভজনও তাঁকে ধন্যবাদ সাকি ভাই- লিখে পাঠান।
নিজস্ব প্রতিবেদন- বিরাট কোহলি, মঈন আলি ও এবি ডিভিলিয়ার্স। বেঙ্গালুরু দলের তিনজন অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানকে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। হরভজন সিং। আইপিএলের দ্বাদশ সংস্করণের প্রথম ম্যাচে তিনি যেন নতুন করে নিজের অস্বিত্বের জানা দিয়ে রাখলেন। ভাজ্জির এমন পারফরম্যান্সের পর ক্রিকেটবিশ্বের অনেকেই তাঁকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন। সেই তালিকায় ছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিনার সাকলাইন মুস্তাকও। ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক সম্পর্ক এখন জটিল। তার প্রভাব যে ক্রিকেটেও পড়েছে তা আগেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। এবার সেটা আরও স্পষ্ট হয়ে গেল। ভাজ্জিকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানোয় মহাসমস্যায় পড়তে হল মুস্তাককে।
দুজনেই বিশ্ব ক্রিকেটের স্বনামধন্য স্পিনার। দুসরা ও তিসরার জন্মদাতা সাকলাইন, এমনটাও অনেকে দাবি করেন। এদিকে, হরভজনের দুসরাও তাবর তাবর ব্যাটসম্যানদের কাবু করে ফেলে। ফলে কোনও এক সূত্রে হয়তো ভাজ্জি-সাকলাইনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কটা স্বাভাবিক। কিন্তু দুই দেশের সম্পর্ক এখন এতটাই খারাপ যে এই সম্পর্ককে বন্ধুত্বপূর্ণ বলে মেনে নিতে পারছেন না অনেকে। বিশেষ করে পাকিস্তানের সমর্থকরা। ফলে নিজের দেশের ক্রিকেট সমর্থকদের কাছেই অপদস্থ হতে হল সাকলাইনকে।
আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করায় ভাজ্জিকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন সাকলাইন। জবাবে হরভজনও তাঁকে ধন্যবাদ সাকি ভাই- লিখে পাঠান। আর তার পরই পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ে। পাকিস্তানে এ নিয়ে তুমুল বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তানের অনেকেই সাকলাইনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। তাঁদের দাবি, সাকলাইন দেশবিরোধী কাজ করেছেন। পাকিস্তানি এক সমর্থক যেমন লিখেছেন- আপনি পাকিস্তানের জন্য লজ্জার। আরেকজন লিখেছেন- যারা আমাদের প্রতিদিন প্রকাশ্যে গালিগালজ করে, আপনি তাঁকেই সম্মান জানালেন! অন্য একজনের বক্তব্য- ওরা আমাদের পিএসএলে ক্রিকোর পাঠায় না। আইপিএলে আমাদের ক্রিকেটারদের খেলতে দেয় না। আর আপনি কিনা তাঁকেই সম্মান জানালেন! আপনি কি পাগল হয়ে গেলেন!