চেয়ার আম্পায়ারকে `চোর` বলে বিতর্কে সেরেনা উইলিয়ামস
আপনি চোর, প্রতারক। আপনাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ইউএস ওপেনের ফাইনালে চেয়ার আম্পায়ারকে 'চোর', 'প্রতারক' বলে বিতর্কে জড়ালেন সেরেনা উইলিয়ামস। খেলার মধ্যেই কোচিং নেওয়া, চেয়ার আম্পায়ারকে গালি দেওয়া এবং র্যাকেট ছোড়ার মতো একাধিক অভিযোগে জর্জরিত মার্কিন টেনিস তারকা। বিতর্কে জড়িয়ে পয়েন্ট খোয়ানো এবং শেষ পর্যন্ত স্ট্রেট সেটে নাওমি ওসাকার কাছে হেরে গেলেন সেরেনা।
আরও পড়ুন - সেরেনাকে হারিয়ে ইউএস ওপেনে চ্যাম্পিয়ন নাওমি ওসাকা
হেরেও প্রচারের আলোয় কিন্তু সেই সেরেনা উইলিয়ামস। তাঁর বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ, ম্যাচ চলাকালীন কোচিং নেওয়ার। প্রথম সেট ৬-২ গেমে জেতেন ওসাকা। দ্বিতীয় সেটের দ্বিতীয় গেমে সেরেনার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তাঁর কোচ প্যাট্রিক মৌরাতগ্লু তাঁকে ইশারায় পরামর্শ দিয়েছেন। চেয়ার আম্পায়ার কার্লোস র্যামোস তাঁকে ডেকে সতর্ক করেন। কিন্তু সেরেনা তার তীব্র প্রতিবাদ জানান। চেয়ার আম্পায়ারের কাছে গিয়ে বলেন, "জেতার জন্য আমি কখনও প্রতারণার আশ্রয় নিই না। তার চেয়ে আমার হেরে যাওয়াই ভাল।"
কিছুক্ষণ পর ফের খেলা শুরু হয়। সেরেনা তখন ২-১ য়ে এগিয়ে। সেই সময়ে ফের চেয়ার আম্পায়ারের কাছে গিয়ে ঠিকভাবে খেলা পরিচালনার কথা বলেন তিনি। সেরেনার পক্ষে ফল দাঁড়ায় ৩-১। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই সেরেনার পর পর ২টি ডাবল ফল্ট এবং ব্যাক হ্যান্ডের একটি শট নেটে আটকে যাওয়ায় ম্যাচে ফেরেন ওসাকা। এবং মেজাজ হারান সেরেনা। নিজের র্যাকেট মাঠে ছুড়ে দেন। ভেঙে যায় র্যাকেটটি। 'র্যাকেট অ্যাবিউস' -এর জেরে এক পয়েন্ট পেনাল্টি হয় তাঁর। ওসাকা ৪-৩ লিড নিয়ে নেওয়ার পর চেয়ার আম্পায়ার র্যামোসের সঙ্গে ফের সেরেনা বাগবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। র্যামোসকে উদ্দেশ্য করে বারবার বলতে থাকেন, "আমি প্রতারক নই। আপনি মিথ্যা কথা বলেছেন। আপনি চোর, প্রতারক। আপনাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। ভবিষ্যতে আমি যে ম্যাচে খেলব, আপনি আর আম্পায়ার থাকবেন না।"
এই সময় সেরেনাকে কোর্টের মধ্যেই কাঁদতেও দেখা যায়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যায় যে, দুই ম্যাচ রেফারিকেও কোর্টে নেমে আসতে হয়। দু পক্ষের বক্তব্য শোনেন দুই রেফারি। কিন্তু এই তর্কাতর্কির জন্য ফের 'ভার্বাল অ্যাবিউস'-এ পয়েন্ট কাটা যায় সেরেনার। শেষ পর্যন্ত স্ট্রেট সেটে হেরে যান সেরেনা।এদিন ফ্লাশিং মিডোয় ক্যামেরার ফ্ল্যাশলাইটে ছিল র্যামোস-সেরেনা বিতর্ক। যার জেরে ফাইনাল শেষে ইউএস ওপেন কর্তৃপক্ষ বিবৃতি দিতে বাধ্য হয়েছে। এমনকী ম্যাচ শেষেও চেয়ার আম্পায়ারের সঙ্গে হাতও মেলাননি সেরেনা।