Shikhar Dhawan: `একবার জড়িয়ে ধরতে চাই ওকে`! ভেঙে পড়লেন সন্তানবিচ্ছিন্ন বাবা
Shikhar Dhawan On His Son Zoravar: ছেলেকে না দেখেই থাকছেন মাসের পর মাস। আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না শিখর ধাওয়ান। ভেঙে পড়লেন এক পডকাস্টে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতীয় ক্রিকেটে ওপেনারদের ইতিহাস লেখা হলে তাঁর নামটা একদম ওপরেরে দিকেই থাকবে। তিনি শিখর ধাওয়ান (Shikhar Dhawan)। ব্যাট হাতে দলকে একটা বড় রানের মঞ্চ তৈরি করে দেওয়ার অন্যতম সেরা কারিগর ছিলেন। ধাওয়ান প্রাক্তন নন, বর্তমান ক্রিকেটারই। তবে ছিলেন লেখা হল কারণ, ধাওয়ান এই মুহূর্তে আর কোনও ফরম্যাটেই ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের ভাবনায় নেই। দু'বছর আগে শেষবার খেলেছেন দেশের জার্সিতে। ফের তাঁকে দেখা যাবে আইপিএলে। পঞ্জাব কিংসের অধিনায়কের জীবনের সঙ্গে আর পাঁচজন ক্রিকেটারের জীবন একেবারে আলাদা। মাঠের বাইরে, তাঁর ব্য়ক্তিগত জীবনেও ঝড়ের পর ঝড়।
চলতি বছরের অক্টোবরে, দিল্লি আদালত শিখর ও তার স্ত্রী আয়েশা মুখোপাধ্য়ায়ের ডিভোর্সে সম্মনি দেয় দিল্লির পাটিয়ালা হাউজ আদালত। আয়েশা 'নিষ্ঠুরতা'র অভিযোগ এনেছিলেন শিখরের বিরুদ্ধে। আয়েশা শিখরের ছেলে জোরাভরকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন। শিখর অবশ্যই ভারতে। আদালত আয়েশাকে জানিয়েছে যে, শিখরের সঙ্গে জোরাভরের দেখা করাতেই হবে। দুই দেশের ক্ষেত্রেই যা প্রযোজ্য়। জোরাভরের স্কুলের ছুটিতে ভারতে এসে আয়েশাকে শিখর এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে রাত্রিবাসেরও নির্দেশ দিয়েছে। গতবছর ডিসেম্বরে জোরাভরের জন্মদিনে শিখর এক বুক ভাঙা পোস্ট করেছিলেন। যা দেখে বলিউডের খিলাড়ি অক্ষয় কুমারও নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি। সম্প্রতি শিখর কথা বলেছেন হিউম্য়ানস অফ বম্বে পডকাস্টে।
ওই চিঠির প্রসঙ্গে শিখর বলেন, দেখুন 'আমি কিন্তু যন্ত্রণা থেকে বলিনি। আমি শুধু আমার ভাবনাটা ভাগ করে নিয়েছিলাম। পাঁচ মাস হয়ে গেল আমি ওর সঙ্গে কথা বলিনি। আমি খুবই আবেগি একটা মানুষ। আমি শুধু ওকে ভালোবাসা পাঠানোর চেষ্টা করেছিলাম। কারণ আমি যদি ওর কথা ভেবে দুঃখিত হয়ে পড়ি, তাহলে নেগেটিভ এনার্জি ওর মধ্য়ে চলে যাবে। আমি ভাবিওনি যে, আমার পোস্ট ভাইরাল হয়ে যাবে। আমি হৃদয় থেকে লিখেছিলাম কথাগুলো। মনের মধ্য়ে একটাই আশা ছিল, যদি এই প্রযুক্তির যুগে আমার ছেলে ওই চিঠি পড়ে ফেলে।'
ধাওয়ান চাইছেন যেন জোরাভর তাঁর সঙ্গেই থাকে। ক্রিকেটারের সংযোজন, 'ও যেখানেই থাকুক, আশা করি ও খুশিতেই আছে। আশা করি ও একদিন আসবে আমাকে দেখবে। আমি যেমও ওকে ভালোবাসি, তেমনই ওর থেকে বিচ্ছিন্ন। তবে এই নিয়ে আমি জোরাজুরি করতে চাই না। আমি ওকে রোজই মেসেজ লিখি। আমি জানি না ও সেগুলো পায় কিনা! ও আদৌ পড়ে কিনা! আমার কোনও প্রত্যাশা নেই আর। আমি মেনেই নিয়েছি। এখন শুধু বাবার কর্তব্য় পালন করছি। ওকে আমি মিস করি। ওকে ছাড়া থাকতে শিখে গিয়েছি। যখন আমি ওর কাছে গিয়ে দেখা করতাম। তখন ওকে শুধু দু'বারই ঘণ্টা দু-তিনেকের জন্য় দেখা করতে দিত। আমি চাই আমার ছেলে আমার আশেপাশে থাকুক। আমি ওকে জড়িয়ে ধরতে চাই।' টিম ইন্ডিয়ার তারকা ক্রিকেটারের সঙ্গে আয়েশার প্রায় এক দশকের বৈবাহিক সম্পর্ক শেষ হয়েছে। ধাওয়ানের বাঙালি স্ত্রী আয়েশা মুখোপাধ্যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই সেই খবর জানিয়ে ছিলেন।