নিজস্ব প্রতিবেদন : ছেলেকে বড় ক্রিকেটার বানানোর জেদ ছিল তাঁর। তার জন্য তাঁকে কম লড়াই করতে হয়নি! কিন্তু হার মানার পাত্র তিনি নন। ছেলেকে শেষমেশ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার বানিয়ে ছাড়লেন। তবে একটা সময় নিজের জেদ বজায় রাখতে লাটে উঠেছিল ব্যবসা। রাজেশ দুবে তবু হাল ছাড়েননি। তাঁর আত্মত্যাগ, খেলার প্রতি প্যাশন, লড়াই করার অদম্য ইচ্ছা অবশেষে তাঁকে জিতিয়ে দিল। ছেলে শিভম দুবে জাতীয় দলের ডাক পেয়েছেন। আজ তাঁর থেকে বেশি গর্বিত হয়তো কেউ নেই। একটা সময় ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর প্রবল আর্থিক কষ্টে দিন কাটাতে হয়েছে। তাঁর মধ্যে ছেলের ক্রিকেট খেলার সরঞ্জাম কেনার খরচ! সবই সামলেছেন তিনি। ছেলেও লড়াই করেছে। বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে দিন-রাত এক করেছে শিবম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  দায়িত্ব নিয়েই কাজ শুরু সৌরভের, ক্রিকেটারদের বেতন বাড়িয়ে দিলেন


চার বছর বয়সে বাড়ির পরিচারিকা প্রথম শিভমের ক্রিকেটীয় প্রতিভার কথা জানিয়েছিলেন রাজেশ দুবেকে। এর পর শিবমের প্রতিভা দেখে রাজেশ দুবের মনে হয় তাঁর ছেলে ক্রিকেটার হতে পারে। তবে তার জন্য অধ্যবসায় প্রয়োজন। কিন্তু এরই মাঝে রাজেশ দুবের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। এর পর বাড়িতেই তিনি ছেলর জন্য উইকেট তৈরি করে দেন। শিবমকে কোচিং করানোর দায়িত্ব নেন তিনি নিজে। রোজ ৫০০ ডেলিভারি করতেন শিবমকে। দশ বছর পর্যন্ত ছেলেকে তিনিই কোচিং করাতেন। সারাদিন ছেলের প্রচুর খাটাখাটনি হত। তাই রাতে ছেলের গায়ে তিনিই তেল দিয়ে মালিশ করে দিতেন। এর পর ১৪ বছর বয়সে শিবম ক্রিকেট কোচিং সেন্টারে ভর্তি হন। মুম্বইতেই কেটেছে শিবমের ছোটবেলা। কিন্তু শিবমের পরিবারের আদি বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। 


আরও পড়ুন-  ভারতীয় ক্রিকেটে ধোনির ভবিষ্যত্ নিয়ে ধোঁয়াশা! এ সবে উদাসীন মাহি মেয়েকে নিয়ে গাড়ি ধুতে ব্যস্ত



বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছেন শিবম। এমন দিনে রাজেশ দুবের আনন্দের শেষ নেই। শিবম দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ভারতীয় এ দলের হয়ে দারুণ পারফরম্যান্স করেছিলেন। রনজি ট্রফিতে বদোদরার স্বপ্নিল সিংহের ওভারে পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন শিবম। তার পর থেকেই ভারতীয় ক্রিকেট সার্কিটে তাঁকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এর পর বিজয় হাজারে ট্রফিতেও দুরন্ত পারফরম্যান্স করেন শিবম। ১৫টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন রোহিত শর্মার টি-২০ দলের নতুন এই সদস্য।