নিজস্ব প্রতিনিধি : ভেবেছিলেন, একটা বড়সড় ঝটকা দিয়ে শো শুরু করবেন। ভেবেছিলেন, সেই ঝটকায় একেবারে টালমাটাল হয়ে আমতা আমতা করবেন পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার শোয়েব আখতার। কিন্তু হল ঠিক তার উল্টো। শোয়েব ঝটকা তো খেলেনই না। বরং সঞ্চালিকার অতিরিক্ত স্মার্টনেস মুহূর্তে ভেঙে চুরমার করলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  কুলদীপের সঙ্গে মাঠেই কথা কাটাকাটি, ধোনি বোঝালেন কে বস!


এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে ভারতের কাছে দুটো ম্যাচেই হেরেছে পাকিস্তান। আজ বাংলাদেশকে হারাতে পারলে পাকিস্তান এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছে যাবে। সেক্ষেত্রে একই টুর্নামেন্টে তিনবার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হবে। যা কি না ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে দারুন উপভোগ্য একটা বিষয়। কিন্তু পাকিস্তান দলের কাছে অবশ্যই উদ্বেগের। কারণ, পর পর দুই ম্যাচে হেরে এমনিতেই তারা এখন কোণঠাঁসা। তাই ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে খেলতে হলে পাক দলের উপর ভয়ঙ্কর চাপ থাকবে। এমন জায়গা থেকেই প্রশ্ন করতে চেয়েছিলেন সঞ্চালিকা। কিন্তু তাঁর প্রশ্ন করার ধরণ ও শালীনতা বোধ নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।


আরও পড়ুন-  হারতেও পারতাম, তবে টাই হওয়ায় খুশি: ধোনি
 



শোয়েব আখতার পাকিস্তান ক্রিকেটের একজন স্বনামধন্য নাম। বিশ্ব ক্রিকেটের তাবর পেসারদের মধ্যে তাঁকে ধরা হয়। এমন একজন সম্মানীয় ব্যক্তির সঙ্গে ঠিক কেমনভাবে কথা বলতে হয়! তাও কি না যখন শোয়েব আখতার একটা সর্বভারতীয় চ্যানেলের হয়ে সাক্ষাত্কারে বসেছেন! এক্ষেত্রে সেই সঞ্চালিকা শুরু থেকেই প্রচণ্ড আক্রমণাত্মক হয়ে পড়লেন পাক পেসারের প্রতি। হয়তো ভারতের পর পর দুই জয়ের পর তিনি আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। কিন্তু সঞ্চালিকার এমন আদব-কায়দা মোটেও ভাল চোখে নেননি শোয়েব। সঞ্চালিকা কথা বলার শুরুর মুহূর্ত থেকেই শোয়েবের মুখ-চোখের চেহারা বদলাতে থাকে। একটা সময় পর আর না পেরে তিনি বলেই ফেলেন, আপনি শালীনতার সীমায় থেকে আমাকে প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে পারি। ক্রিকেটর প্রশ্ন করুন আমাকে। আপনার দেশের স্বচ্ছতার অভিযান বা এই ধরণের টপিক শুনে আমার কোনও কাজ নেই। এর পরই একটু সামলে নেন সঞ্চালিকা। কিন্তু দমে যাননি। চালিয়ে খেলতে থাকেন শোয়েবও।