নিজস্ব প্রতিনিধি : কেউ বলছেন, সংখ্যাটা ৫০০-র কাছাকাছি। কেউ আবার বলছেন, আরও বেশি। ঠিক কতজন মহিলা মাঠে বসে খেলা দেখলেন সেটা গুরুত্ব পাচ্ছে না। গুরুত্ব পাচ্ছে, মেয়েরা মাঠে বসে খেলা দেখল। তাও ৩৯ বছর পর। ইরানের ফুটবলের যেন নবজাগরণ হল। আর সেই নবজাগরণের সাক্ষী হয়ে থাকল আজাদি স্টেডিয়াম। ইরানের জনপ্রিয় ক্লাব পার্সেপোলিস। সেই ক্লাব এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে নেমেছিল জাপানের কাশিমা আন্টলার্সের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে কয়েকশো ইরানি মহিলা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার অনুমতি পেলেন। গত মাসে ইরান বনাম বলিভিয়া ম্যাচে ১০০ জন ইরানি মহিলা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখেছিলেন। তবে এদিন মহিলাদের সংখ্যাটা একশোর থেকে অনেক বেশি ছিল। যা কি না ফুটবলের জন্য ভাল বিজ্ঞাপন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  বাথরুমে টিভি, অভিনব উদ্যোগ নিল রোনাল্ডোর প্রাক্তন ক্লাব


ইরানের ক্লাব পার্সেপোলিসের ম্যাচ দেখতে এদিন আজাদি স্টেডিয়ামে প্রায় ৮০ হাজার দর্শক এসেছিলেন। ইরানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, স্টেডিয়ামে আসা মহিলাদের বেশিরভাগ ফুটবলারদের আত্মীয়। এছাড়া ইরানের মহিলা ফুটবল মহলের অনেকেও হাজির ছিলেন। ছিলেন ইরান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন-এর কর্তাদের পরিবারের অনেকে। ইরান ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত এক কর্তা বলছিলেন, এই ম্যাচে মহিলাদের জন্য ৮৫০ আসন সংরক্ষণ করা হয়েছিল। যার সবটাই এদিন ভর্তি ছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন, মহিলারা গ্যালারিতে আসা মাত্র স্ট্যান্ডের অন্য অংশের দর্শককরা হাততালি দিয়ে তাঁদের স্বাগত জানান। বিশ্ব ফুটবলে যা কিনা বিরল দৃশ্য। এর আগে অন্য দেশের মহিলা ফুটবল সমর্থকদের আজাদি স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ইরানি মহিলাদের এই স্টেডিয়ামে প্রবেশের অধিকার ছিল না।


আরও পড়ুন-  আই লিগে জয়ের মুখ দেখল মোহনবাগান!


ফুটবল স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার অধিকার চেয়ে প্রায় দুই লক্ষ ইরানি মহিলা সই করে পিটিশন জমা দিয়েছিলেন ফিফার কাছে। তার পরই ফিফার তরফে ইরান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কাছে আবেদন আসে। ইরানের লোকসভার সদস্য ফাতেমা জোলকার বহুদিন ধরে এই দাবিতে সোচ্চার ছিলেন। শেষমেশ অধিকার অর্জন করে তিনি উচ্ছ্বসিত। বলছিলেন, এটা আমার একার স্বপ্ন নয়। বহু যুগ ধরে হাজারো মহিলা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার স্বপ্ন দেখেছেন। এটা তাদের সবার জয়। যে কোনও মানুষেক মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আমাদের সবার উদ্যোগ নেওয়া উচিত। যদিও ইরানে এখনও মহিলাদের স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার উপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়নি। গত মাসে ইরান-বলিভিয়া ম্যাচে ও এবার ক্লাব স্তরের এই খেলায় সাময়িক নিষেধাজ্ঞা তোলা হয়েছে। তবে ফিফার সঙ্গে সঙ্গে এবার এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন-ও ইরানের ফুটবল সংস্থার সঙ্গে এই ইস্যুতে কথা বলেছে। ফলে খুব তাড়াতাড়ি পরিস্থিতি বদলের সম্ভাবনা রয়েছে।