নিজস্ব প্রতিবেদন: 'কিসমত এক কুত্তি চিজ হ্যায়'! রুপোলি পর্দার এই বাদশাহী সংলাপ যে বাস্তবেও মিলবে, কে জানত! ২৪ বছরের জীবনে কখনও ৬০ টাকার বেশি রোজগার করতে পারেননি। আর এক আইপিএল-এই কিনা তিনি লাখপতি! 




COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একেই বলে 'ভাগ্যের ফের'। ৬০ টাকার ছুতোর মিস্ত্রি থেকে মনজুর দর এখন কাশ্মীরের একমাত্র উঁচু দরের ক্রিকেটার। সৌজন্যে আইপিএল ২০১৮। ক্রিকেট ভাল লাগলেও সেভাবে সুযোগ পাননি কোনও দিনই। দিন কেটেছে নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি করে। পরিবারের পেট চালাতে কখনও আবার ছুতোর মিস্ত্রির কাজও করতে হয়েছে। রোজের আয় ছিল মাত্র ৬০ টাকা। এভাবেই চলছিল জীবন। তবে একবার সুযোগ পেতেই বাজি মেরে ছাড়লেন কাশ্মীরের এই ব্যাটসম্যান। পারভেজ রসুলের পর উপত্যকা থেকে তিনিই একমাত্র এমন রাজকীয়ভাবে উঠে এলেন। আইপিএল-এ পঞ্জাবের হয়ে খেলবেন তিনি। নিলামের শেষ দিনে ২০ লাখ টাকায় তাঁকে কিনে নিয়েছেন প্রীতি জিন্টা। 


আরও পড়ুন- নিলামের ৩ কোটি টাকায় বাড়ি কিনতে চান কম্পাউন্ডারের ছেলে


সেহবাগের দলে সুযোগ পেয়ে ২৪ বছর বয়সী মনজুর বলছেন,"আল্লাহ্‌র কাছে আমি কৃতজ্ঞ। কিংস ইলেভেন পঞ্জাব এবং প্রীতি (জিন্টা) ম্যাডামকেও ধন্যবাদ। এতদিন ৬০ টাকার শ্রমিক হয়েই দিন কেটেছে। এবার আমি আইপিএল-এ দল পেলাম।" রাতে নিরাপত্তারক্ষীর চাকরি, আর সকাল থেকে ক্রিকেট। কখনও আবার মিস্ত্রির কাজ। জীবনের চড়াই উতরাইয়ে সব হারিয়েও হার মানেননি মনজুর। ২০০৮ থেকে ২০১২ পর্যন্ত ক্লাব ক্রিকেটে মনোনিবেশ করেছেন তিনি। এতদিনে সেই কঠিন শ্রমের ফল পেলেন এই ক্রিকেটার। ১০০ মিটারের ছক্কা হাঁকানো মনজুর এখন কাশ্মীর জুড়ে আলোচনার কেন্দ্রে। ছেলের আইপিএল অভিষেকের কথা জানতে পেরে অসংখ্য লোক এসে মনজুরের মা'কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। খুশি গোটা পরিবার। 


আরও পড়ুন- প্রথম নেপালি ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে অভিষেক হল সন্দীপের


কয়েকদিন আগেই ঘরোয়া ক্রিকেটে যুবরাজ সিংয়ের বিরুদ্ধে খেলেছেন মনজুর। তবে এরই মধ্যে যে তারকার সতীর্থ হয়ে উঠবেন, একই দলে খেলার সুযোগ পাবেন, তা স্বপ্নেও ভাবেননি। তবে এটাই বাস্তব। কপিল দেবকে আদর্শ মনে করা মনজুর জানাচ্ছেন, "তাঁর (যুবরাজ) সঙ্গে একদলে খেলতে পারা আমার কাছে অভাবনীয়। তিনি ছাড়াও ধোনি এবং কপিল দেব আমার স্বপ্নের তারকা। আমি ধোনির মত ছয় মারতে চাই।" 


আরও পড়ুন- আইপিএলের নিলামে কোটিপতি হলেন ১৬ বছরের এই আফগান ক্রিকেটার


খেলার আরও খবর জানতে দেখুন স্পোর্টস ২৪, রাত ১১টায়