Natwest Trophy 2002: অধিনায়কত্বের গুরুত্বপূর্ণ পাঠ নিয়েছিলেন বীরুর থেকেই! স্মৃতিচারণায় Sourav Ganguly
সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায় (Sourav Ganguly) বললেই চোখের সামনে ভেসে ন্য়াটওয়েস্ট ট্রফির (Natwest Trophy 2002) ঐতিহাসিক ফাইনালের কথা। ব্রিটিশভূমেই ইংল্য়ান্ডের দর্পচূর্ণ করেছিল সৌরভের টিম ইন্ডিয়া।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায় (Sourav Ganguly) বললেই চোখের সামনে ভেসে ন্য়াটওয়েস্ট ট্রফির (Natwest Trophy 2002) ঐতিহাসিক ফাইনালের কথা। ব্রিটিশভূমেই ইংল্য়ান্ডের দর্পচূর্ণ করেছিল সৌরভের তরুণ টিম ইন্ডিয়া। ন্য়াটওয়েস্ট জয়ের ১৯ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও, আজও আলোচনায় উঠে আসে লর্ডসের ব্যালকনিতে সৌরভের জার্সি খুলে ঘোরানো ও তাঁর দলের তরুণ তুর্কীদের অবিস্মরণীয় কিছু পারফরম্য়ান্স। সম্প্রতি সৌরভ ইউটিউব চ্য়াটে ন্য়াটওয়েস্টের স্মৃতিচারণা করলেন। তিনি জানালেন যে, তিনি ওই টুর্নামেন্টে ক্য়াপ্টেনসির গুরুত্বপূর্ণ পাঠ নিয়েছিলেন বীরেন্দ্র শেহওয়াগের (Virender Sehwag) থেকে
লর্ডসে ইংল্য়ান্ডের পাহাড় প্রমাণ ৩২৫ রান তাড়া করে ভারত রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচ জিতে নিয়েছিল। এই প্রসঙ্গে সৌরভ বলছেন, "আমরা ফাইনালে ৩২৫ রান তাড়া করতে নেমেছিলাম। আমি যখন শেহওয়াগের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলাম তখন কিছুটা হতাশ ও বিরক্ত ছিলাম। কিন্তু শেহওয়াগ বলেছিল আমরা জিতব। আমাদের শুরুটা ভাল হয়েছিল (১২ ওভারে ৮২)। আমি বীরুকে বলেছিলাম, আমরা নতুন বলে বোলারদের দেখে নিয়েছি। এই অবস্থায় আমাদের উইকেট হারালে চলবে না। সিঙ্গলসের ওপরেই ফোকাস রাখতে হবে। কিন্তু যখন রনি ইরানি ওর প্রথম ওভার করতে আসে শেহওয়াগ প্রথম বলেই ওকে চার মারে। আমি ওকে গিয়ে বলি, আমরা বাউন্ডারি পেয়ে গিয়েছি, এবার সিঙ্গল নিয়ে ভাবি। কিন্তু শেহওয়াগ আমার কথা কানে নেয়নি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলেও চার মারে। আমি প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলাম। ও পাঁচ নম্বর বলেও চার মারে।"
এই ঘটনা থেকেই ক্য়াপ্টেনসির পাঠ নিয়েছিলেন সৌরভ। তিনি বলেন, "আমি বুঝেছিলাম যে, শেহওয়াগকে ওকে আক্রমণাত্মক খেলার সাধারণ প্রবৃত্তি থেকে আটকানোর কোনও মানেই হয় না। ক্যাপ্টেনসির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টরই হচ্ছে একজন অধিনায়ককে খেলোয়াড়ের ভাবনার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে।" সৌরভ-শেহওয়াগের ওপেনিং জুটিতে ভারত ৩২৫ রান তাড়া করতে নেমে ১৪.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১০৬ রান তুলেছিল। ৪৩ বলে ৬০ রান করে ফিরে যান সৌরভ। কিন্তু এরপর ভারত ধারাবাহিক ভাবে উইকেট হারাতে শুরু করে। একসময় রীতিমতো ধুঁকছিল ভারতের ব্যাটিং লাইন আপ। ১৪৬ রানে চলে গিয়েছিলে ৫ উইকেট। কিন্তু যুবরাজ সিং (৬৯) ও মহম্মদ কাইফের (৮৭) ১২১ রানের যুগলবন্দি ভারতের জয়ের ভাগ্য লিখে দিয়েছিল। ৩ বল বাকি থাকতেই ভারত ২ উইকেটে জিতে যায়।