নিজস্ব প্রতিবেদন- টেস্টে ৩৯০, ওয়ানডেতে ২৬৬ ও টি-টোয়েন্টিতে ছটি উইকেট শিকারী তিনি। ১৯৯৮ থেকে ২০১১ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সি গায়ে খেলেছেন ১০১টি টেস্ট, ১৭৩টি ওয়ানডে ১০টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে সর্বকালের অন্যতম সেরা পেসার তিনি। তবে তিনিই রেহাই পাননি। প্রতিভার মাপকাঠিতে তাঁর বিচার হয়নি। শুধুমাত্র গায়ের রঙ কালো বলে তাঁকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন সতীর্থরাই। এমনকী দল হারলে তাঁর ঘাড়ে দোষ দেওয়া হত। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন পেসার মাখায়া এনটিনিও বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছিলেন। ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর এতদিন পর তিনি এই ব্যাপারে মুখ খুলেছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের পুলিসি হেফাজতে মৃত্যুর পর অনেকেই বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। আমেরিকার প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। খেলার জগতেও সেই প্রতিবাদের ঢেউ এসে পড়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার ড্যারেন সামি থেকে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার লুঙ্গি এনগিডি, অনেকেই জানিয়েছেন খেলার মাঠে ও বাইরে তাঁদের কীভাবে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতে হয়েছে! অনেক সময় সতীর্থদের অবহেলা ও বিরূপ আচরণ সহ্য করতে হয়েছে তাঁদের। এবার মুখ খুললেন মাখায়া এনটিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা পেসার হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে অপমান সহ্য করতে হয়েছে।


আরও পড়ুন-  'আলু' বলে ডাকায় মারামারি করেছিলেন ইনজামাম! না, আসল কারণ আজহারের স্ত্রী


দক্ষিণ আফ্রিকান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে এনটিনি জানিয়েছেন, "ক্রিকেট জীবনে একাকীত্ব ছিল আমার সবসময়ের সঙ্গী। আমাকে দলের কেউ ডিনারের জন্য ডাকত না। এমনকী সকালে ব্রেকফাস্ট টেবিলে গেলেও সতীর্থরা আমার পাশে বসত না। সতীর্থরা আমার সামনেই অনেক পরিকল্পনা করত। কিন্তু তাতে আমাকে রাখত না। আমরা একই জার্সি পরতাম। একই জাতীয় সঙ্গীত গাইতাম। তবু আমাকে এসব সহ্য করতে হয়েছে। আমি টিম বাসের ড্রাইভারের কাছে নিজের ব্যাগ দিয়ে দিয়ে দিতাম। তার পর দৌড়ে মাঠে যেতাম। মাঠ থেকে ফেরার সময়ও একই কাজ করতাম। কেউ জানত না আমি এমনটা কেন করতাম! কাউকে কখনও বুঝতে দিইনি। এই নিয়ে কাউকে কিছু বলিনি।''