জমজমাট নাটক! নক আউটে স্পেন-পর্তুগাল
গোলটি হলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যেত ইরান।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মরক্কোর বিরুদ্ধে কোনও রকমে হার বাঁচিয়ে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় ২০১০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন স্পেন। ২-২ গোলে ড্র করে বি গ্রুপের শীর্ষে থেকে নক আউটে স্প্যানিশরা। অন্যদিকে ইরানের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করল পর্তুগাল। পেনাল্টি মিস করলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো।
আরও পড়ুন- সুয়ারেজ-কাবানির গোলে সহজ জয় উরুগুয়ের! গোল করেও হারল 'মিশরীয় মেসি'
পর পর দুটো ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ থেকে আগেই বিদায় নিয়েছিল মরক্কো। কিন্তু বি গ্রুপের শেষ ম্যাচে স্পেনের বিরুদ্ধে প্রায় অঘটন ঘটিয়েই দিয়েছিল আফ্রিকার দলটি। কালিনিনগ্রাদে ১৪ মিনিটে খালিদ বুতাইবের গোলে এগিয়ে যায় মরক্কো। পাঁচ মিনিট পরেই অবশ্য ইস্কোর গোলে সমতায় ফেরে স্পেন। বিরতির পর ফের স্প্যানিশ রক্ষণে চাপ বাড়াতে থাকে মরক্কো। ৮১ মিনিটে এন নেসাইরির গোলে ফের এগিয়ে যায় মরক্কানরা। এরপর স্পেনকে নিশ্চিত হারের হাত থেকে বাঁচালেন ইয়াগো আসপাস। ইনজুরি টাইমে আসপাস গোলটি করার সময় অফসাইডের পতাকা তোলেন সহকারি রেফারি। পরে ভিডিও ফুটেজ দেখে গোলের বাঁশি বাজান রেফারি। শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে ড্র করে বি গ্রুপের শীর্ষে থেকে শেষ ষোলোয় চলে গেল স্পেন।
অন্যদিকে সারনস্কে বি গ্রুপের অন্য ম্যাচে ইরানের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধের শেষ লগ্নে পর্তুগালকে এগিয়ে দেন কোয়ারেশমা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ আসে আগের দুই ম্যাচে ৪ গোল করা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সামনে। কিন্তু পর্তুগিজ অধিনায়কের পেনাল্টি বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে আটকে দেন ইরানের গোলরক্ষক আলি বেইরানভান্দ। ৮৩ মিনিটে মেজাজ হারিয়ে হলুদ কার্ড দেখেন সিআর সেভেন। লাল কার্ডও দেখতে পারতেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমে পেনাল্টি থেকে ইরানকে সমতায় ফেরান করিম আনসারিফার্দ। পরের মিনিটেই মেহেদি তারেমির কাছে সুবর্ন সুযোগ ছিল ইরানকে জেতানোর। কিন্তু খুব কাছ থেকে লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন তিনি। গোলটি হলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে যেত ইরান। বিদায় নিত ইউরো চ্যাম্পিয়ন পর্তুগালকে।
ইরানের সঙ্গে ১-১ ড্র করে গ্রুপ রানার্স আপ হয়ে শেষ ষোলোতে পর্তুগাল। অন্য ম্যাচে মরক্কোর সঙ্গে ২-২ ড্র করে গ্রুপ সেরা হয়েই বিশ্বকাপের নক আউটে স্পেন।