নিজস্ব প্রতিনিধি : দিল্লির জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামের ভিতরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করল এক অ্যাথলিট। ১৮ বছর বয়সী পালেন্দর সিং ট্রেনিং সেশন শেষ করে সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হস্টেলের ঘরে আসেন। তার পর সন্ধ্যে সাড়ে ছটা নাগাদ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। কিছুক্ষণ পরই সতীর্থরা সিলি ফ্যান থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়। তার পর সাই অ্যাকাডেমির কোচদের খবর দেওয়া হয়। পালেন্দরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  কাশ্মীর আমাদের চাই না, পাক প্রধানমন্ত্রীকে বার্তা আফ্রিদির


পুলিশের কাছে এখনও ১৮ বছরের পালিন্দরের আত্মহত্যার কারণ স্পষ্ট নয়। তবে সাই-এর তরফে জানানো হয়েছে, বাবার সঙ্গে ফোনে পালিন্দরকে তর্কাতর্কি করতে শোনা যায়। তার পরই বোন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসে। দুজনের মধ্যে কোনও অজ্ঞাত ইস্যু নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। কিন্তু পরিবার বা সাই-এর তরফে কেউই ভাবতে পারেননি, পালেন্দর এত বড় একখানা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবেন। পালেন্দরের আরেক বন্ধু বলছিলেন, ও দ্বোতলার ঘরে থাকত। আমি ওকে ডাকতে যাই সন্ধ্যের দিকে। তখন দেখি, সিলং ফ্যান থেকে ও ঝুলছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে ছুরি জোগাড় করে দড়ি কেটে ওকে নামাই। তার পর হোস্টেলের অ্যালার্ম বাজানো হয়। ওকে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই আমরা হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। 


আরও পড়ুন-  নিউজিল্যান্ডে ভারতীয়-এ দলের প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে বিশ্রাম দেওয়া হল রোহিত শর্মাকে


আন্তর্জাতিক স্তরে ১০০ ও ২০০ মিটার দৌড়ে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন পালেন্দর। ২০১৭-তে ব্যাঙ্ককে আয়োজিত ইউথ এশিয়া অ্যাথলেটিক মিটেও দেশের হয়ে নেমেছিলেন পালেন্দর। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, পালেন্দর কোনও সুইসাইড নোট রেখে যাননি। পালেন্দরের বাবা থাকেন উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে। ছেলের মৃত্যুর খবর শোনার পর তিনি জানিয়েছেন, ''ও আমার কাছে কিছু টাকা চেয়েছিল। আমি বললাম, কিছুদিনের মধ্যে টাকা পাঠিয়ে দেব। তার পর কী হল আমি কিছুই জানি না। স্টেডিয়াম বা সাই কর্তৃপক্ষের কারও উপর আমার কোনও অভিযোগ নেই।''