Sunando Dhar | AIFF: এআইএফএফ থেকে দায়িত্ব ছাড়লেন সুনন্দ! নেপথ্যে কী কারণ?
কলকাতার ছেলে সুনন্দ ফেডারেশনের আগে স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কাজ করেছেন কলকাতায়। ২০১০ সালে এআইএফএফে যোগদান করেন তিনি।
দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়: সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সচিবের পদ থেকে শেষ পর্যন্ত সরতে হল সুনন্দ ধরকে। সোমবার বিকেলে তিনি ইস্তফা দিয়ে দেন সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে। সুনন্দ ধরের এই আকস্মিক পদত্যাগের পরে ভারতীয় ফুটবল মহলে এখন একটাই প্রশ্ন, কেন সরতে হল ভারতীয় ফুটবল প্রশাসনের অন্যতম কাজের ছেলে সুনন্দকে?
গত বছর সেপ্টেম্বরে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে নির্বাচনের পরে প্রেসিডেন্ট হন প্রাক্তন ফুটবলার কল্যাণ চৌবে। সচিবের দায়িত্ব নেন সাজি প্রভাকরণ। সুনন্দকে করা হয় ভারতীয় ফুটবল টিমের ডিরেক্টর ও সহ-সচিব। আগে কুশল দাস এআইএফএফ সচিব থাকার সময়ে সুনন্দ পালন করতেন আই লিগের সিইও-র দায়িত্ব। শোনা যাচ্ছে, ফুটবল ফেডারেশনের নতুন কমিটিতে সুনন্দ সহ-সচিব হিসেবে যোগ দেওয়ার পরে পদ থাকলেও স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারছিলেন না। যা নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল তাঁর। সূত্রের খবর, ফেডারেশনের বিরোধী পক্ষের এক ফুটবল কর্তার সঙ্গে সুনন্দের দহরম-মহরমও নাকি ভাল ভাবে দেখেননি বর্তমান এআইএফএফ কর্তারা। সেখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। যা শেষ হল পদত্যাগের মধ্য দিয়ে।
সোমবার রাতে ফেডারেশনের বিদায়ী সহ-সচিব সুনন্দকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ব্যাপারে কিছু বলতে চাননি। জি-চব্বিশ ঘণ্টাকে তিনি বলেন, "সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনে এক যুগের বেশি কাজ করেছি। মনে হচ্ছে এখন থেমে যাওয়াই ভাল। তাই এই সিদ্ধান্ত। আপাতত বিশ্রাম নেব। দীর্ঘদিন বাংলায় বাড়িতে যাওয়া হচ্ছে না। কলকাতায় ফিরি। কয়েক দিন বিশ্রামের পরে পরবর্তী ইনিংস নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করব।" কেন পদত্যাগ করলেন সুনন্দ, এ ব্যাপারে ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট ও সচিবকে ক্রমাগত ফোন করা হলেও তাঁদের ফোন বেজেই গিয়েছে। কোন উত্তর দেননি তাঁরা।
কলকাতার ছেলে সুনন্দ ফেডারেশনের আগে স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কাজ করেছেন কলকাতায়। ২০১০ সালে এআইএফএফে যোগদান করেন তিনি। তার পরে ফেডারেশনে নানা দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘদিন আই লিগের সিইও হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন সাফল্যের সঙ্গে।