Sunil Gavaskar vs Virat Kohli : ফের লেগে গেল! কোহলির মন্তব্যের কড়া জবাব দিলেন সানি
Sunil Gavaskar vs Virat Kohli : একটি সর্ব ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে `লিটল মাস্টার` বলেন, `বিরাট ঠিক কোন প্রাক্তনের কথা বলছে এটা বোঝা খুব শক্ত। বিরাট যদি নাম উল্লেখ করে তাহলে তাদেরকে গিয়ে জিজ্ঞেস করা যায় যে তোমরা যোগাযোগ করেছিলে কিনা। যদি বিরাটের সঙ্গে খেলে যাওয়া প্রাক্তনীদের কথা বলা হচ্ছে এখানে, তাহলে তাদের মধ্যে টিভিতে কারা আসে, সেটা সবার জানা। তাদের গিয়ে তাহলে ধরা উচিত যে কেন কোনও মেসেজ করেনি!`
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতীয় ক্রিকেটের (Indian Cricket) দুই মহাতারকার সম্পর্ক ২০২১ সালেই তলানিতে ঠেকেছিল। এ বার সেটা আরও স্পষ্ট হল। বিরাট কোহলির (Virat Kohli) বিস্ফোরক সাংবাদিক সম্মেলনের কয়েক ঘন্টা পরেই তাঁকে পাল্টা দিলেন সুনীল গাভাসকর (Sunil Gavaskar)। চলতি এশিয়া কাপে (Asia Cup 2022) পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে সুপার ফোরের ম্যাচে পাঁচ উইকেটে হেরে যায় টিম ইন্ডিয়া (Team India)। এরপর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে 'বিরাট' বিস্ফোরণ ঘটান কোহলি।
জানিয়েছিলেন যে, টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর তিনি শুধু মহেন্দ্র সিং ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) তরফ থেকে মেসেজ পেয়েছিলেন। শুধু এটা বলেই তিনি ক্ষান্ত থাকেননি। কোহলি আরও যোগ করেন, তাঁর ব্যাটিংয়ের ভুলভ্রান্তি শুধরে দেওয়ার সদিচ্ছা কোনও প্রাক্তনের থাকলে তিনি যেন সরাসরি এসে কথা বলেন। এই বিষয়ে টেলিভিশনে মন্তব্য করা সঠিক নয়। বিরাটের এমন বক্তব্য ভালভাবে নেননি ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। সানি জানান, ঠিক কার থেকে ফোন পাওয়ার আশা করছিলেন বিরাট, সেটা তাঁর বলা উচিত।
একটি সর্ব ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে 'লিটল মাস্টার' বলেন, 'বিরাট ঠিক কোন প্রাক্তনের কথা বলছে এটা বোঝা খুব শক্ত। বিরাট যদি নাম উল্লেখ করে তাহলে তাদেরকে গিয়ে জিজ্ঞেস করা যায় যে তোমরা যোগাযোগ করেছিলে কিনা। যদি বিরাটের সঙ্গে খেলে যাওয়া প্রাক্তনীদের কথা বলা হচ্ছে এখানে, তাহলে তাদের মধ্যে টিভিতে কারা আসে, সেটা সবার জানা। তাদের গিয়ে তাহলে ধরা উচিত যে কেন কোনও মেসেজ করেনি!'
আরও পড়ুন, Virat Kohli, IND vs PAK : মোক্ষম সময় ক্যাচ ফস্কালেও 'ভিলেন' অর্শদীপের পাশে 'কিং কোহলি'
আরও পড়ুন, IND vs PAK, Asia Cup 2022 : পন্থের উপর রেগে লাল রোহিত, ভাইরাল হয়ে গেল সাজঘরের মুহূর্ত
এখানেই থেমে না থেকে সানি আরও যোগ করেন, 'বিরাট ঠিক কী বার্তা চেয়েছিল! ও কী উৎসাহ চাইছিল! ওর অধিনায়কত্বের পালা চুকে গিয়েছিল। তাহলে আবার কীসের উৎসাহ লাগবে! বিরাট এই মুহূর্তে জাতীয় দলের একজন সিনিয়র ক্রিকেটার হিসাবে খেলছে। ওকে সেই ভূমিকায় জোর দেওয়া উচিত। এখন অন্যদের বিষয়ে আর ভাবার প্রয়োজন নেই।'
১৯৮৫ সালে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর অধিনায়কত্ব ছাড়েন সুনীল গাভাসকর। সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন তিনি ফের বলেন যে, 'অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর আমিও কোনও মেসেজ পাইনি। সেই ঘোষণা করার পর রাতে সতীর্থদের সঙ্গে পার্টি করেছি। তাঁদের শুভেচ্ছা পেয়েছি। কিন্তু এর থেকে বেশি কিছু প্রত্যাশা করা উচিত নয়।'
কিং কোহলি ভারতের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার তথা অন্যতম সফল অধিনায়ক। কিন্তু তাল কাটে গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে। প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার আগেই তিনি টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব ছেড়ে দেন। এরপর গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে তাঁকে একদিনের অধিনায়কত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ হারার পর হঠাৎ তিনি লাল বলের অধিনায়কত্ব থেকেও সরে দাঁড়ান। সেই প্রসঙ্গে এই প্রথম প্রকাশ্যে মুখ খুললেন 'কিং কোহলি'।
বিরাট সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, 'সত্যি যদি আমার কথা কেউ ভেবে থাকে তা হলে সে আমাকে ফোন করে কথা বলতে পারত। আমি যদি কাউকে সাহায্য করতে চায়, তাহলে সেই লোকটার কাছে গিয়ে কথা বলব। পুরো দুনিয়াকে ঢাকঢোল পিটিয়ে জানাতে যাব না। যদি আপনি পুরো দুনিয়ার সামনে কাউকে সাহায্য করেন, তাহলে এর কোনও মূল্য নেই। আমার ব্যাটিংয়ের উন্নতির জন্য ওয়ান টু ওয়ান কথা বলা যেতেই পারে। আসলে আমি খুব সৎভাবে জীবনযাপন করি। তাই বাইরের ঘটনা আমাকে মাঝেমধ্যে প্রভাবিত করে।'
কয়েক মাস আগে গাভাসকর জানিয়েছিলেন, তিনি মাত্র ১০ মিনিট সময় পেলে বিরাটকে ছন্দে ফেরানোর চেষ্টা করবেন। প্রবাদপ্রতিমের এমন মন্তব্য ভাল চোখে নেননি বিরাট। তাই হয়তো সুযোগ পেয়েই সানিকে একহাত নিলেন। তবে 'লিটল মাস্টার'-ও দমে যাওয়ার পাত্র নন। তিনিও বিরাটকে সরাসরি আক্রমণ করে বসলেন।
২০২১ সালের আইপিএল চলার সময় বিরাটের ব্যাটিং দেখে মন্তব্য করেছিলেন সানি। তিনি মাইক হাতে বলেছিলেন, 'বিরাটকে তো অনুষ্কা প্র্যাকটিস করায়!' সিনিয়র গাভাসকরের এই মন্তব্য মোটেও ভালভাবে নেননি বিরাট। তিনি প্রকাশ্যে তখন কিছু না বললেও, অনুষ্কা কিন্তু সানির বিরুদ্ধে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন। তখন থেকেই দুই কিংবদন্তির সম্পর্ক তলানিতে চলে গিয়েছিল। এ বার সানির পাল্টা মন্তব্যে সেটা আরও স্পষ্ট হল। এখন এই বিতর্কের জল কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার।