Navjot Singh Sidhu: ৮৮`র `ঘুষিকাণ্ডে` ১ বছরের জেল সিধুর, মামলা পর্যালোচনার অনুমতি সুপ্রিম কোর্টের
কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী Navjot Singh Sidhu-কে পঞ্জাব পুলিস তাদের হেফাজতে নেবে। তাঁকে IPC-র ৩২৩ ধারার অধীনে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ১৯৮৮ সালের রোড রেজ মামলায় প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং কংগ্রেস নভজ্যোত সিং সিধুকে (Navjot Singh Sidhu) এক বছরের কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ১৯৮৮ সালের মামলায় ২০১৮ সালে তাদের দেওয়া নির্দেশের পর্যালোচনার অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সিধুকে পঞ্জাব পুলিস (Punjab Police) তাদের হেফাজতে নেবে। তাঁকে আইপিসির ৩২৩ ধারার অধীনে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
শীর্ষ আদালত ১৫ মে, ২০১৮ সালে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের আদেশ বাতিল করে। সিধুকে অপরাধমূলক হত্যাকাণ্ডের জন্য দোষী সাব্যস্ত করে তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড প্রদান করে পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট। যদিও একজন প্রবীণ নাগরিককে আঘাত করার জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করে সুপ্রিম কোর্ট।
সিধুকে ৬৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির "স্বেচ্ছায় ক্ষতি করার" জন্য দোষী সাব্যস্ত করা সত্ত্বেও, সুপ্রিম কোর্ট তাকে কারাদণ্ড না দিয়ে শুধুমাত্র ১০০০ টাকা জরিমানা করে। পরে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে, সর্বোচ্চ আদালত মৃতের পরিবারের সদস্যদের দায়ের করা একটি পর্যালোচনা পিটিশন গ্রহণ করতে সম্মত হয়।
পঞ্জাব নির্বাচনের ঠিক আগে, তাঁর স্ত্রী নভজ্যোত কৌর সিধু (Navjot Kaur Sidhu) বলেন SAD নেতা বিক্রমজিৎ মাজিথিয়ার (Bikramjit Majithia) অঙ্গুলিহেলনেই মামলাটি চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: IPL 2022: আইপিএল থেকে KKR-এর ছিটকে যাওয়ার পাঁচ কারণ, বিশ্লেষণ করলেন Deep Dasgupta
১৯৮৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর সিধু এবং তাঁর বন্ধু রুপিন্দর সিং সান্ধুর সঙ্গে পাটিয়ালার বাসিন্দা গুরনাম সিং-এর ঝামেলা হয়। অভিযোগ করা হয় গুরনামকে মারধোর করে এলাকা থেকে পালিয়ে যান সিধু এবং সান্ধু। আরও বলা হয় তাঁরা যাওয়ার আগে গুরনামের গাড়ির চাবি নিয়ে চলে যান যাতে তিনি ডাক্তারের কাছে পৌঁছাতে না পারেন।
১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে তাদেরকে খুনের ঘটনায় মুক্তি দেওয়া হলেও ২০০৬ সালে পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্ট তাদেরকে কাল্পেবল হোমিসাইডের ঘটনায় অভিযুক্ত করে। তাদেরকে ১ লক্ষ টাকা করে জরিমানাও করা হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন সিধু এবং তাঁর বন্ধু। ২০০৭ সালে হাইকোর্টের অর্ডারের উপর স্টে অর্ডার দেয় সুপ্রিম কোর্ট।