নিজস্ব প্রতিবেদন :  জাকার্তা এশিয়ান গেমসে হেপ্টাথেলনে সোনা জিতে ২১ বছর বয়সী স্বপ্না বর্মন আবদার করেছিলেন, "এক জোড়া জুতো পেলে ভাল হয়।" দুই পায়ে মোট বারোটা আঙুল, তাই স্বপ্নার দরকার বিশেষ ভাবে তৈরি জুতো। আর সেই ব্যাপারে সাহায্যের জন্য এগিয়ে এসেছে চেন্নাইয়ের এক সংস্থা। ইন্ট্রিগাল কোচ ফ্যাক্টরি নামে রেলওয়ে কোচ প্রস্তুতকারক সেই সংস্থা অ্যাথলিটদের আর্থিক সাহায্যও করে থাকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


দেশকে সোনা জিতিয়ে উঠেই নিজের যন্ত্রণার কথা জানিয়েছিলেন স্বপ্না। আসলে জন্ম থেকেই এক বিরল রোগের শিকার স্বপ্না। তাঁর দুই পায়ে সব মিলিয়ে বারোটা আঙুল। ফলে আর পাঁচজন অ্যাথলিটের মতো নয়, তাঁর লড়াইটাও একটু হলেও আলাদা। দুই পায়েই ছটি করে আঙুল। জুতো মেলা দুষ্কর। তবু এই অবস্থাতেই এশিয়ান গেমসে হেপ্টাথেলনে সোনা ছিনিয়ে এনেছেন। শেষ ইভেন্ট ৮০০ মিটারের ফাইনালে দৌড়নোর সময় কষ্ট হচ্ছিল মারাত্মক।কঠিন লড়াই জিতে সোনা পাওয়ার পর স্বপ্না তাই আহামরি কিছু চান নি। কেবল একজোড়া জুতোর আবদার ছিল তাঁর। জলপাইগুড়ির স্বপ্না বর্মণের সেই জুতো-যন্ত্রণা এবার শেষ হতে চলেছে।  


আরও পড়ুন - সোনা জিতে স্বপ্নার আবদার, এক জোড়া জুতো পেলে ভাল হয়


চেন্নাইয়ের ওই সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার সুধাংশু মনি বলেন, "সোনা জেতার পর টিভিতে দেখলাম ওর পায়ে একটা সমস্যা রয়েছে। হেপ্টাথেলনের সাত ইভেন্টের জন্য ওর চার জোড়া জুতোর প্রয়োজন। আমরা এই ব্যাপারে নাইকির সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। এখন ওর ফেরার অপেক্ষায় রয়েছি আমরা। ফিরলে ওর পায়ের সাইজ পেয়ে যাব। আর তারপর ওর জন্য বিশেষ ভাবে তৈরি জুতো আনাতে পারব।" ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থা নাইকির তৈরি জুতোর খরচ মেটাবে ইন্ট্রিগাল কোচ ফ্যাক্টরি। এমনটাই জানানো হয়েছে ওই সংস্থার তরফে।