নিজস্ব প্রতিবেদন:  "একসময় একমুঠো ভাতের জন্য আমরাও হা পিত্তেশ করে বসে থাকতাম, কারন বাবা রিক্সা চালাত। সারাদিন রিক্সা চালিয়ে উপার্জন করে রাতে চাল নিয়ে বাড়ি ফিরলে ভাত রান্না হত। তারপর সবাই মিলে খেতাম। তাই খিদের জ্বালা কী! তা আমি জানি," কথাগুলো একানাগাড়ে বলে চললেন এশিয়াডে হেপ্টাথেলনে সোনাজয়ী স্বপ্না বর্মন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এবার লকডাউনে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন সেই স্বপ্না বর্মন যিনি নিজে একসময় দু মুঠো ভাতের জন্য সারাদিন হা পিত্তেশ করে বসে থাকতেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে নিয়ম মেনেই জলপাইগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ৫০০ পরিবারের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দিলেন এশিয়াডে সোনাজয়ী স্বপ্না বর্মন।




বর্তমানে জলপাইগুড়ি পাতকাটা কলোনীর ঘোষ পাড়ার বাড়িতে গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন স্বপ্না। তিনি জানান, "এসময় বাড়িতেই পরিবারের সাথে রয়েছি। বাড়ির বাচ্চাদের সাথে খেলছি। বাড়িতে থেকে যতটা সম্ভব ব্যায়াম করা যায় তা করছি। ডায়েটিং করছি ওজন কন্ট্রোলে রাখার জন্য।সামনের বছর অলিম্পিক কিন্তু এই লকডাউনের জেরে প্র‍্যাকটিস কম, খুব একটা প্রভাব ফেলবে না।" করোনার কারণে এই সময় বিশ্বের অন্যান্য অ্যাথলিটরাও নিজেদের ঘরবন্দি রেখেছেন।


তবে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে লকডাউন ভাঙার ছবি দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বপ্না বলেন,"অহেতুক বাড়ির বাইরে গিয়ে নিজের পাশাপাশি অন্যের বিপদ ডেকে আনছে মানুষ।" তাই এই কঠিন সময়ে সবাইকে ঘরবন্দি থাকার অনুরোধ করেছেন তিনি।


আরও পড়ুন - স্বস্তি! ভারত সফরে আসা প্রোটিয়া ক্রিকেটাদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের লক্ষণ নেই