নিজস্ব প্রতিনিধি : দেশের প্রথম অ্যাথলিট যিনি কিনা এশিয়ান গেমসের হেপ্টাথলন ইভেন্টে সোনা জিতলেন। গোটা দেশ এখন তাঁর সাফল্যে কুর্ণিশ জানাচ্ছে। জলপাইগুড়ির স্বপ্না বর্মন যেন গোটা দেশের স্বপ্নপূরণ করে দিয়েছেন। তবে এখনও অনেকেই হয়তো স্বপ্নার স্বপ্নের উত্থানের পিছনের যন্ত্রণার কথাটা জানেন না। তবে এটা এখন প্রায় সবাই জানেন, দাঁতে প্রচণ্ড যন্ত্রণা নিয়ে এশিয়ান গেমসের ইভেন্টে নেমেছিলেন স্বপ্না। দাঁতে যন্ত্রণা কমানোর জন্য ঠিকঠাক ব্যাথার ওষুধও খেতে পারেননি তিনি। কারণ, এখন অ্যাথলিটদের ওষুধ খাওয়ার ব্যাপারে অনেক রকম নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে দাঁতের যন্ত্রণা ছাড়াও আরেকটা সমস্যা নিয়ে ট্র্যাকে নেমেছিলেন স্বপ্না। সেই যন্ত্রণা আরও বেশি ছিল। অনেকেরই হয়তো সেটা অজানা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  অবলাদের উপর অত্যাচার করলে শাস্তি হোক হাজতবাস, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি চাহ্বলের


দেশকে সোনা জিতিয়ে উঠে নিজের যন্ত্রণার কথা জানালেন স্বপ্না। আসলে জন্ম থেকেই এক বিরল রোগের শিকার স্বপ্না। তাঁর দুই পায়ে সব মিলিয়ে বারোটা আঙুল। ফলে আর পাঁচজন অ্যাথলিটের মতো তাঁর লড়াই ছিল না। একে তো গরীব বাড়ির মেয়ে। তার উপর পায়ে এমন সমস্যা। বুঝতেই পারছেন স্বপ্নার লড়াই কতটা কঠিন ছিল! এমন কঠিন লড়াই জিতে সোনা পাওয়ার পর স্বপ্না কিন্তু আহামরি কিছু চাইলেন না। তিনি কী চাইলেন জানেন? এক জোড়া জুতো।


স্বপ্না বলছিলেন, ''জাতীয় ক্রীড়া দিবসে আমি দেশের জন্য সোনার পদক জিতলাম। তাই এই পদকটা আমার জন্য খুব স্পেশাল। তবে প্রচুর অসুবিধা নিয়ে আমাকে ছুটতে হয়। একে তো আমি আর পাঁচজন অ্যাথলিটের মতো সাধারণ স্পোর্টস শু পরে দৌড়ই। বাকিদের পায়ে পাঁচটা করে আঙুল। আমার কিন্তু ছটা। তাই সাধারণ স্পোর্টস শু পরে দৌড়তে আমার খুব কষ্ট হয়। দৌড়নোর সময় প্রচণ্ড যন্ত্রণা হয় পায়ে। কোনও কোম্পানি যদি আমার জন্য বিশেষ ধরণের জুতো বানিয় দেয় তা হলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।'' 


আরও পড়ুন-  দেশকে দুটো রূপো এনে দিলেন দ্যুতি চাঁদ


দাঁতের সমস্যা নিয়ে স্বপ্না বলছিলেন, ''আমি আসলে প্রচুর চকোলেট খাই। তাই ইভেন্টের দুদিন আগে থেকে দাঁতে সমস্যা শুরু হয়। তবে দাঁতে ব্যাতার জন্য আমি এত প্রস্তুতি তো আর জলে দিতে পারতাম না। তাই ব্যথার কথা ভুলে ইভেন্টে নামি।''