কলকাতায় নেমেই অবাক `সোনার মেয়ে` স্বপ্না বর্মন
বিমানবন্দরের সাধারণ যাত্রীরাও উত্সুক হয়ে এগিয়ে আসেন স্বপ্নাকে দেখতে।
নিজস্ব প্রতিনিধি : হয়তো মনে মনে ভাবছিলেন, এর আগেও তো এয়ারপোর্টের এই গেট দিয়েই বাইরে এসেছি। কিন্তু কখনও তো এমন কিছু ঘটেনি। সত্যিই তাই। ডোমেস্টিক টার্মিনালের এই গেট দিয়েই স্বপ্না বর্মন এর আগেও পদক জিতে ফিরেছেন। কিন্তু নিরবে, একা। কখনও কেউ একটা ফুল হাতে নিয়েও এগিয়ে আসেনি। এবার কিন্তু ছবিটা পুরো আলাদা। স্বপ্না বর্মন এবার বিমানবন্দরে নেমেই অবাক হয়ে গেলেন।
আরও পড়ুন- ঘরে ফিরলেন হিমা দাস, চমকে উঠলেন গুয়াহাটিতে পা রেখেই
জাকার্তায় এশিয়ান গেমসের হেপ্টাথলনে সোনা জিতে কলকাতায় পা রাখলেন বাংলার এই মেয়ে। জলপাইগুড়ির মেয়ে স্বপ্না পড়েন চারুচন্দ্র কলেজে। প্রিয় ছাত্রী কলকাতায় ফিরছে শুনে বিমানবন্দরে ছুটে এসেছিলেন সেই কলেজের অধ্যাপক, পড়ুয়ারা। বিমানবন্দরের বাইরে তখন স্বপ্না...স্বপ্না ডাক। চোখে-মুখে একরাশ বিস্ময় নিয়ে এসব দেখছিলেন। এদিন স্বপ্নাকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও বেঙ্গল ওলিম্পিক সংস্থার কর্তা স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বপ্নার হাতে পুষ্পস্তবক তুলে দেন তাঁরা। স্বপ্নার জন্য বিমানবন্দরে এদিন হাজির ছিলেন কয়েকশো মানুষ। এমনকী, বিমানবন্দরের সাধারণ যাত্রীরাও উত্সুক হয়ে এগিয়ে আসেন স্বপ্নাকে দেখতে।
আরও পড়ুন- দেশের জন্য পদক জিতে হরিশ ফিরলেন সেই চায়ের দোকানে
বিমানবন্দর থেকে স্বপ্ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িতে চেপে স্বপ্না চলে যান সল্টলেক সাই-তে। সেখানে স্বপ্নার জন্য সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল সাই। সেখানে স্বপ্না জানান, তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য এবার ওলিম্পিক। আপাতত বিশ্রাম নেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই বলেও জানান সোনার মেয়ে। এদিন সাইয়ের তরফে জানানো হয়, ভবিষ্যতে আরও বেশি সংখ্যক স্বপ্না বর্মন তুলে আনতে এবার সল্টলেক সাইতে আসছে নতুন ট্র্যাক। নীল রঙের সেই ট্র্যাকে ট্রেনিং করার সুযোগ পাবেন নতুন অ্যাথলিটরা। এর আগে যুবভারতীতে নতুন ট্র্যাক বসেছে। কিন্তু সেটা ততটা উন্নতমানের নয়। স্বপ্নার ঘরে ফেরার দিনে নতুন ট্র্যাক বসানোর কথা জানাল সাই (পূর্বাঞ্চল)। আর সেটা অবশ্যই বাংলার অ্যাথলিটদের জন্য ভাল খবর।