নিজস্ব প্রতিবেদন: খেলায় হার-জিত থাকবেই। কিন্তু তাই বলে প্রতি মরসুমে মোক্ষম ম্যাচে এমন অসহায় আত্মসমর্পণ অভ্যাসে পরিণত করে ফেলতে হবে! বাংলা দলের ক্ষেত্রে সেটা তো হয়েই চলেছে। তবুও কর্তাদের টনক নড়ে না। ক্রিকেটাররাও বছরের পর বছর ধরে একরাশ লজ্জা দেওয়ার পরেও ক্লান্ত হন না! 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যে কর্নাটককে হারিয়ে বাংলা এ বার সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টির (Syed Mushtaq Ali T20) কোয়ার্টার ফাইনালের ছাড়পত্র পেয়েছিল, সেই কর্নাটকের বিরুদ্ধে সুপার ওভারে গিয়ে হারের কারণ একটাই হতে পারে। এদের বুকে কলজে নেই। 


বৃহস্পতিবার টস জিতে প্রথম ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা। প্রথমে ব্যাট করে কর্নাটক তুলেছিল ১৬০/৫। ২৯ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত ছিলেন করুণ নায়ার। ২৯ রান করেন অধিনায়ক মণীশ পাণ্ডে। এরমধ্যে শেষ পাঁচ ওভারে ৬১ রান বিলিয়েছে বাংলার বোলাররা। 


আরও পড়ুন: INDvsNZ: 'ইডেন বেল' বাজাবেন BCCI সভাপতি Sourav Ganguly


তবে সেমি ফাইনালে যেতে হলে তো ১৬১ রান তুলতেই হবে। কিন্তু বাংলা যে স্কোরবোর্ডে বড় রান দেখলেই কেঁপে যায়। অভিষেক দাস ক্লাব ম্যাচেই সুন্দর। বাংলা দলের হয়ে যতবার নেমেছেন ততবার ডুবিয়েছেন। এ বার নক আউট পর্বে তিন ম্যাচে খারাপ ব্যাটিং করার জন্য বাদ পড়েছিলেন। সেই 'ট্যাটু বিশিষ্ট' ওপেনারকে কোন পরিকল্পনায় দলে নেওয়া হল ভগবান জানেন! ফল যা হওয়ার তাই হল। প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে ফিরলেন। অধিনায়ক সুদীপ বড় মঞ্চে জ্বলে ওঠার বদলে, অহেতুক মারতে গিয়ে দলকে বিপদে ফেললেন। শাহবাজ আহমেদও প্রথম বলেই মারতে গিয়ে আউট হলেন। ১০০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলা তখন বেজায় চাপে। 


তবে চাপের মুখেও ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় করলেন ৪০ বলে ৫১ রান। শেষ দিকে ১৮ বলে ৩৬ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন ঋত্বিক রায়চৌধুরী। কিন্তু শেষ বলে আকাশ দীপ রান আউট হওয়ার জন্য ম্যাচ চলে যায় সুপার ওভারে। যেখানে ৪ বলে ৫ রান তুলতেই সর্বোচ্চ ২ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলা। মাত্র ২ বলে যে রান তুলে ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় কর্নাটক। সৌজন্যে শ্রীবৎস গোস্বামী। এত বছর ধরে বাংলার হয়ে খেলার পরেও এই সিনিয়র এই ম্যাচে দুবার রান আউট হলেন! এমন বিরল ঘটনা কেউ ঘটিয়েছেন কিনা জানা নেই। 


দুর্বোধ্য পরিকল্পনার আরও উদাহরণ আছে। যে ঋত্বিক একার হাতে বাংলাকে জিতিয়ে দিচ্ছিলেন সেই ছেলেটা সুপার ওভারে নক-স্ট্রাইকে দাঁড়িয়ে থাকবেন! ক্রিকেটীয় যুক্তি না মেনে আকাশের দিকে প্রার্থনা করলে কি ম্যাচ জেতা যায় সুদীপ! কর্নাটক কিন্তু তাদের দুই সেরা ক্রিকেটার মণীশ পাণ্ডে ও করুণ নায়ারকে দিয়ে ওপেন করিয়ে চোখের সামনে থেকে ম্যাচ জিতে বেরিয়ে গেল। 


লজ্জার ব্যাপার হল হেড কোচ অরুণ লালকে ফোন করা হলে তিনি বরং বললেন, "হেরেছি বলে খারাপ লাগছে। তবে এই কর্নাটককে ১০ বারের মধ্যে ৮ বার হারাতে পারি। তাই হারলেও ভেঙে পড়ছি না। কিন্তু আমাদের বড় ম্যাচ জেতা অভ্যাস করতে হবে।" 


অরুণ লাল যাই বলুন। বাংলার এমন দুর্দশা দেখে একজনের কথা খুব মনে পড়ছে। তিনি বলেছিলেন, 'দোকানে মাল নেই। শাটার তুলে কি লাভ!' বক্তার নাম অশোক দিন্দা। 


 (Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)