নিজস্ব প্রতিবেদন : এক অদ্ভুত রোগের শিকার তিনি। এই রোগে তাঁর শরীরের হাড় ভেঙে যায় নিজে থেকেই। তার পর দু-তিন দিনের মধ্যে সেই হাড় আবার নিজে থেকে জোড়া লেগে যায়। প্রথম প্রথম পুজা শর্মার বাড়ির লোকজন ভেঙে পড়েছিলেন মেয়ের এমন রোগের কথা জানতে পেরে। পুজার স্কুলের দিদিমণিরাও অবাক হয়ে যেতেন। কারণ, অনেক সময় তাঁরা ক্লাসরুমেই পুজার শরীরের হাড় ভেঙে যাওয়ার শব্দ শুনতে পেতেন। তার পর ক্লাসের মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়তেন পুজা। ধীরে ধীরে চিকিত্সা শুরু হল পুজার। এমন বিরল রোগের নাকি তেমন কোনও প্রথাগত চিকিত্সা হয় না এদেশে। পুজা কিন্তু লড়াই ছাড়েননি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ক্লাস টুয়েলভ পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন পুজা। ইচ্ছা থাকলেও অসুস্থতার জন্য এর পর আর তাঁর পড়াশোনা করা হয়নি। তবে জীবনের হাজার লড়াইয়ের মাঝেও পুজা কিন্তু ক্রিকেট থেকে চোখ সরাননি। এত প্রতিকূলতার মাঝে ক্রিকেট যেন তাঁকে নতুন করে বাঁচার পথ দেখায়। ক্রিকেট ও বিরাট কোহলির প্রতি তাঁর প্রবল আনুগত্য। বিরাট কোহলিকেই অনুপ্রেরণা মনে করেন ইন্দৌরের পুজা। ঘরের মাঠে বিরাট কোহলিকে দেখার সুযোগ তাই তিনি হাতছাড়া করেননি। ভারত-বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম টেস্ট দেখতে হোলকার স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন পুজা। ইন্দৌরে বাংলাদেশকে এক ইনিংস ও ১৩০ রানে হারিয়েছে কোহলির ভারত। ম্যাচ শেষে পুজার দেখা হয়ে যায় কোহলির সঙ্গে। বিরাটকে হাতের নাগালে পেয়ে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি পুজা। এদিকে, পুজার শারীরিক অবস্থার কথা জানতে পেরে আবেগে ভাসলেন কোহলিও।


আরও পড়ুন-  ক'দিন বাদেই নিলাম! কোন ক্রিকেটারদের ধরে রাখল আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজি, দেখুন এক নজরে



পুজা কোহলির স্পেশাল ফ্যান। আর এই স্পেশাল ফ্যান-এর সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটালেন বিরাট। পুজার কাছে তো ব্যাপারটা স্বপ্নপূরণের মতো। তিনি বললেন, ''আমি বিরাটের ভক্ত। ওর প্রতিটা ইনিংস আমি দেখেছি। অ্যাডিলেডে বিরাটের ১৪১ রানের ইনিংস আমার কাছে সেরা।'' ভক্তের সঙ্গে সময় কাটিয়ে এদিন তাঁকে অটোগ্রাফ দিয়ে গেলেন ক্যাপ্টেন কোহলি। উঠল সেলফি, ছবিও।