শেষ ওভারের নাটক-১, ৪, ৪, আউট, আউট, আউট
সৌরভ পাল
৬ বলে ১১ রান। হাতে রয়েছে ৪ উইকেট। ২২ গজে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এবং নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মহমদুল্লা। ম্যাচের সব পরিসংখ্যানেই জয় পাচ্ছে বাংলাদেশে। সেসময় টুইটারে বাংলাদেশের জয়ে ভোট পড়েছিল ৭৪ শতাংশ। ভারত মাত্র ২৪। তবে দোলের রাতে ক্রিকেট দেবতার কলমে লেখা হল অন্য বসন্ত।
শেষ ওভারের স্কোর কার্ড-১,৪,৪, আউট, আউট, আউট। ম্যাচ জিতল ভারত।
নাটকের প্রথম পরিচ্ছদ-ক্যাপ্টেন কুল মাহি বল দিলেন হার্দিকের হাতে। ক্রিকেটের 'দ্য গ্রেট গ্যাম্বলর' এই কথাটা ক্যাপ্টেন কুলের সঙ্গেই মাহির ক্রিকেট জীবন লেখার সময় বার বার জ্বল জ্বল করে উঠবে। কারণ, যে ম্যাচ জেতা যায় না সেই ম্যাচে জয় আনতে অনভিজ্ঞ হার্দিকের হাতে বল দেওয়ার দুঃসাহস ধোনি ছাড়া আর কাউর পক্ষে করা সম্ভব ছিল না।
প্রথম বল- অফ স্ট্যাম্পের বাইরে বল। মহমদুল্লার ব্যাট থেকে বল সোজা ডিপ কভারে জাদেজার হাতে। ১ রান।
দ্বিতীয় বল- ব্যাটে মুশফিকুর রহিম। অফ স্ট্যাম্পের বাইরে আরও ওয়াইডার ডেলিভারি। ব্যাক অব দ্য ক্রিজ গিয়ে কভার দিয়ে সোজা চার মারলেন মুশফিকুর।
তৃতীয় বল- ৪ বলে দরকার ৬। হাতে ৪ উইকেট। স্কুপ শটে আবারও চার। খেলা একেবারে বাংলাদেশের পকেটে। এরপরই নাটক, নাটক আর নাটক।
চতুর্থ বল- ৩ বলে ২ রান। হাতে ৪ উইকেট। উইকেট বরাবর বল। বড় শট খেলতে গিয়ে শিখর ধাওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ক্রিজ আউট হন মুশফিকুর।
পঞ্চম বল-২ বলে ২ রান। হাতে ৩ উইকেট। স্লো ফুলটস। মুশফিকুরের মত বড় শট খেলতে গিয়ে জাদেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ২২ গজ ছাড়েন মহমদুল্লাও।
শষ্ঠ বল-১ বলে দুই রান। হাতে ২ উইকেট। ক্রিজে তখন দুই নতুন ব্যাটসম্যান। মুস্তাফিজুর এবং শুভাগত। শেষ বলের রোমাঞ্চ যে এমন হবে তা কল্পনাও করতে পারেনি ১২০ কোটির দেশ। বল হাতে হার্দিক। ব্যাটে শুভাগত। নন- স্ট্রাইকে মুস্তাফিজুর। অফ স্ট্যাম্পের বাইরে বল, ব্যাটেই লাগাতে পারেনি শুভাগত। দৌঁড়ে রান নিতে গেলে ধোনির অনবদ্য কিপিংয়ে রান আউট হন মুস্তাফিজুর। ভারত ম্যাচ জেতে মাত্র ১ রানে।