নিজস্ব প্রতিবেদন: এক যুগের প্রেম শেষ হতে সময় লেগেছিল মাত্র ১ মিনিট! একটা ভুল শট আর আউট। ক্ষমা করেনি ক্রিকেট। বিচ্ছেদের লগ্নে দ্বিতীয়বার সুযোগ পাননি কলকাতার মহারাজ। আক্ষেপ হয়? 'এ সেঞ্চুরি ইজ নট এনাফ', নিজের প্রথম বইতে সৌরভ নিজেই অবশেষে জানালেন, "না, আমার কোনও আক্ষেপ নেই।" সঙ্গে এও জানালেন, "নাগপুরে আমি একটা বলিষ্ঠ শতরান থেকে বঞ্চিত হয়েছি, তার জন্য আজও দুঃখ হয়।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জীবনের শেষ টেস্টে সৌরভ:
প্রথম ইনিংস- ৮৫ (১৫৩)
দ্বিতীয় ইনিংস- ০ (১)


নাগপুর, ৬ নভেম্বর ২০০৮- সেই সময়ের বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী টেস্ট দলের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল বেহালার বাঁ হাতি। অস্ট্রেলিয়ার আগুনে বোলার ব্রেট লি'র বাউন্স, জনসনের পেস, ওয়াটসনের সুইং কিংবা ক্রেজার স্পিন কোনও কিছুই সেদিন থামাতে পারেনি সৌরভের ব্যাটকে। গাঙ্গুলির ৮৫ রানের একটা ইনিংসে ছিল কপি বুক ড্রাইভ থেকে চোখে লেগে থাকা স্কোয়ার কাট। একটা বলকে সৌরভ 'বাপি বাড়ি যা' করেছিলেন ক্যানভাসে ছবি আঁকার মতো করেই। তবে স্পিন ভাল খেলা সৌরভ আউট হলেন স্পিনেই। স্কোরবোর্ডে সৌরভ তখন ৮৫। ক্রেজার বলে ক্লার্কের হাতে ক্যাচ দিয়ে, প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন ভারতের অন্যতম সেরা বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। ১৫ থেকে দূরে থেমে যাওয়াটাই যে ক্রিকেট জীবনের সব থেকে দুঃখের, অবশেষে এই চরম সত্য নিজেই জানালেন সৌরভ গাঙ্গুলি। 


আরও পড়ুন- দুর্গাপুজোর ভাসানে 'সর্দার জি' সেজেছিলেন সৌরভ


আর জীবনের শেষ ইনিংসে সৌরভ ২২ গজে সময় কাটিয়েছিলেন মাত্র ১ মিনিট। দ্বিতীয় ইনিংসেও অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার ক্রেজারের বলেই আউট হন 'গড অব অফসাইড'। প্রথম বলেই স্পিনের বিপরীতে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন সৌরভ। এতে একটুও আক্ষেপ নেই। কিন্তু প্রথম ইনিংসের শতরান না পাওয়া, যেটা সৌরভকে আজও দুঃখ দেয়। ১৫৩ বলে ৮৫, গড় ছিল ৫৫.৫৫। ২২ গজে ব্যাট হাতে সৌরভ কাটিয়েছিলেন ২২০ মিনিট। লড়াই করেও শেষ হাসি হাসতে পারেননি মহারাজ। সেটাই হল তাঁর ক্রিকেট জীবনের সব থেকে দুঃখের 'বিরাট সফর'।


আরও পড়ুন-  ৬০ টাকার ছুতোর মিস্ত্রি থেকে লাখপতি ক্রিকেটার, এটাই আইপিএল