ওয়েব ডেস্ক: ফিল হিউজকে কেন্দ্র করে আজ অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট মাঠে দেখা গেল আবেগের বিস্ফোরণ। তা নিয়েই থাকল এই প্রতিবেদন-


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ফিল হিউজকে সম্মান জানিয়ে শুরু হয় অ্যাডিলেড টেস্ট। সময় তখন সকাল দশটা সতেরো মিনিট। অ্যাডিলেডের উপস্থিত দর্শকরা উঠে দাঁড়ালেন। মাঠের ঘাসে লেখা চারশো আটের উপর দাঁড়িয়ে তখন ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা। ৬৩ সেকেন্ড গোটা স্টেডিয়ামে পিন ড্রপ সাইলেন্স।  হিউজের স্মৃতির উদ্দেশ্যে হল নীরবতা পালন। পরের ৩০ সেকেন্ড মাঠে দেখানো হল ফিল হিউজকে নিয়ে তৈরি ভিডিও ক্লিপিংস। এরপর নীরবতা ভেঙে ম্যাচে ফেরা। হিউজকে সম্মান জানিয়ে অসি ক্রিকেটাররা ৪০৮ট লেখা  সাদা জামা পরেই মাঠে নামলেন। হাতে কালো আর্মব্যান্ডেও ফিলের স্মৃতি। তেরো নম্বর সদস্য হিসেবে মাঠে থাকলেন হিউজ। পাঁচদিনই স্কোরবোর্ডে লেখা থাকবে হিউজের স্কোর নটআউট ৬৩।



সিডনিতে অ্যাবটের বাউন্সার যখন আঘাত করছিল ফিল হিউজের হেলমেটে তখন বাউন্ডারি লাইনের ধারে ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। সতীর্থের মাটিতে লুটিয়ে পড়ার স্মৃতি ক্ষত হয়ে আছে মনের ভিতর। আর তাই শতরান নয় অ্যাডিলেডে তার প্রথম লক্ষ্য ছিল ৬৩ রান। সুইপ শট মেরে এই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌছতেই আকাশের দিকে  তাকিয়ে সম্মান জানালেন ফিল হিউজকে। ব্যাট তুলে স্যালুট জানালেন। হিউজকে সম্মান জানাতে ভুলল না অ্যাডিলেডও। দর্শকরাও উঠে দাঁড়িয়ে করতালি দিয়ে সম্মান জানালেন ৬৩ নটআউট হিউজকে। ৩৭ রান করে বন্ধুর শতরান পূর্ন করে হিউজকে সম্মান জানান মাইকেল ক্লার্কও।


ফিল হিউজের মৃত্যুর ধাক্কা কাটিয়ে মাঠে ফিরে সেই বাউন্সারকেই অস্ত্র হিসাবে বেছে নিলেন  শন অ্যাবট। উইকেটও  পেলেন । বাইশ বছরের এই তরুণ পেসারের বাউন্সারেই মাথায় আঘাত পেয়ে মৃত্যু হয়েছিল ফিল হিউজের। হিউজের মৃত্যুর পর অ্যাবটের ক্রিকেট ভবিষ্যতই পড়েছিল প্রশ্নের মুখে। ভীষণভাবে ভেঙে পড়েছিলেন অ্যাবট। সিডনিতে কুইন্সল্যান্ডের বিরুদ্ধে শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচ ছিল অ্যাবটের কাছে চরম পরীক্ষা। অ্যাবট বল করতে আসতেই করতালি দিয়ে তাকে উত্সাহিত করেন দর্শকরা।  প্রথম ওভার থেকেই শর্ট বল করতে থাকলেও  কিছুটা গুটিয়ে ছিলেন অ্যাবট। দশ ওভার সময় নেন নিজেকে ছন্দে ফেরাতে। পরপর দুই ওভারে দুটি উইকেটে তুলে নেন তিনি।