সৌরভ পাল


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


ক্রিকেটের অধ্যায়ে ২০১৬, ৩ মার্চ, রবিবারের নাম হবে 'ইট ওয়াস ক্যারিবিয়ান'স ডে'। অর্ধেক আকাশ, অর্ধেক পৃথিবী, সব অর্ধেক অর্ধেক নয়, গোটা ক্রিকেট ক্যারিবিয়ানদের। মহিলা ও পুরুষ, দুই বিশ্বকাপেই চ্যম্পিয়ন ক্লাইভ লয়েডের দেশ। বিশ্বের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী দেশের অধিনায়ক সাক্ষ্মী থাকলেন জোড়া জয়ের। থুড়ি, ডাবলস নয় এদিন ক্যারিবিয়ানদের ঝুলিতে জয়ের হ্যাটট্রিক। অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ, মহিলা ও পুরুষদের টি-টোয়েন্টি, 'চ্যাম্পিয়নস অব অল', একটাই দেশ, নাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ।


ক্রিকেটের নন্দন কাননে ব্রিটিশ স্বপ্নের সমাধি লিখলেন দুই অপরাজিত নায়ক। একজন মার্লন স্যামুয়েল, অন্যজন অনামী কার্লোস ব্রেথওয়েট । না সেদিন রাতে গেইল ঝড় ছিল না। সিমন্সও হয়ে ওঠেননি ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি। মহাকাব্যে যেমনটা হয়ে আসছে, ক্রিকেটের মহাকব্যেও হল এমনই, বিশ্বকাপের নাট্যমঞ্চ আবিষ্কার করল আরও এক হিমগিরির। ঠাণ্ডা মাথার কার্লোস ব্রেথওয়েট বুঝিয়ে দিলেন, হিমশৈল ভাঙলে বিপর্জয় অবধারিত।


শেষ ওভার। ব্রিটিশদের হাতে দ্বিতীয়বারের জন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফি যায় যায়! সেবার ট্রফি তুলেছিলেন পল কলিংউড, এবার ট্রফি হাতে সেলিব্রেশন করবেন ইয়ন মর্গ্যান। ২০১০ সালের স্মৃতি ফিরবে ইডেনে। এমনটাই মনে হচ্ছিল ১৯ ওভার পর্যন্ত। ২৯ বছর পর ইডেনে ফাইনাল খেলছে 'একদা শাসক'। কলকাতায়ই যে শেষ হবে স্বপ্ন, তা দুঃস্বপ্নেও ভাবেনি ইংল্যান্ড।


বলে বেন, ব্যাটে ব্রেথওয়েট। ৬ বলে দরকার ১৯। প্রথম বল ৬। দ্বিতীয় বল ৬। তৃতীয় বল ৬। চতুর্থ বল ৬। ২ বল বাকি থাকতেই জয় স্যামিদের। দ্বিতীয়বারের জন্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফি উঠল ড্যারেন স্যামির হাতে। 'ম্যান অব দ্য ম্যাচ' মার্লন স্যামুয়েলস হলেও ১০ বল খেলে ৩৪ রান করে ম্যাচ জয়ের ইতিবৃত্তিতে 'চির নায়ক' হয়ে থাকলেন কার্লোস।



ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে এক অবিসংবাদিত নায়কের খোঁজ!


২০১১ সালে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক।
৮ ম্যাচে ২৬ উইকেট।
বাংলাদেশ সফরে প্রথম জাতীয় দলে সু্যোগ।
২০১৬ বিশ্বকাপে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক।
এটাই প্রথম বিশ্বকাপ। আর এই বিশ্বকাপের শেষ পাতার শেষ লাইনটা লিখে রাখলেন ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের অবিসংবাদিত নায়ক, কার্লোস ব্রেথওয়েট।



এই কি শেষ? গেইল, রাসেল, স্যামি, পোলার্ড, নারিনরা বরাবরই নিজস্বতা দেখিয়ে এসেছেন ক্রিকেটে। কমেন্ট্রি বক্স থেকে বার বারই ভেসে এসছে একটা শব্দ, 'ইম্প্রেসিভ'। 'গেইল ঝড়', 'ম্যাজিক বোলার নারিন', 'দানব পোলার্ড', 'স্যামি সুইং বাই ব্যাট' এমন সব শব্দের ফুলঝুরি খবরের কাগজে একবার নয় হাজার হাজার বার ফুটেছে। কেবল বিশ্ব ক্রিকেট নয় এদের প্রত্যেকের স্বতন্ত্রতাই ফুটেছে আরও এক ক্রিকেট মঞ্চে তাঁর নাম ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (IPL)। গেইল দিয়ে ঝড় করাতে কেকেআর থেকে বেঙ্গালুরু, ফ্রেঞ্চাইজিদের টানাটানি ছিল টাগ অব ওয়ারের মত। এবার বোধহয় আবারও এমনটাই হতে চলেছে। প্রথমে দিল্লি হলেও, পরে দল বদলের গল্প আগে থেকলেই লেখা রইল। '৩০ লাখের কালো হীরে বিক্রি হয়েছে ৪.২ কোটিতে'। এত বিশেষণ কেবল মাত্র কার্লোস ব্রেথওয়েটের জন্যেই। আইপিএলে কার্লোস ব্রেথওয়েট দিল্লি ডেয়ার ডিভিলস-এ। বেস প্রাইস ছিল ৩০ লাখ, দিল্লি নিল ৪.২ কোটিতে।