নিজস্ব প্রতিনিধি : কবে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে ভারত? কবে বিশ্বের তাবর ফুটবল খেলিয়ে দেশগুলোর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করতে দেখা যাবে এদেশের তারকাদের? এমন প্রশ্ন উঠলে স্বাভাবিকভাবেই মন খারাপ হয়ে যায় ভারতীয় ফুটবল সমর্থকদের। ফুটবল বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার কোনও আশা দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছে না ভারত। কিন্তু বিশ্বকাপের মঞ্চে ভারতের অস্তিত্ব তুলে ধরছে খুদে দুজন। একজনের বয়স ১১। আরেকজনের ১০।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  বিশ্বকাপ জিতবে কে? ভবিষ্যদ্বাণী শাহিনের


এক গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা জাতীয় স্তরে প্রতিভা অন্বেষণের কাজ শুরু করেছিল। সেই সংস্থা আবার রাশিয়া বিশ্বকাপে স্পনসরশিপের সঙ্গে যুক্ত। গোটা দেশ থেকে তারা দুজনকে বেছে নেয়। ১১ বছরের নাথানিয়া জন ও ১০ বছর বয়সী ঋষি তেজ। এই দুজনকে মস্কোয় বিশ্বকাপ ফাইনালে বল বাহক হিসাবে দেখা যাবে। অর্থাত্, ব-কলমে এই দুজনই এখন বিশ্বকাপের মঞ্চে গোটা দেশের প্রতিনিধি হিসাবে থাকবে। নেমার ও কুটিনহোর ভক্ত নাথানিয়া এর আগে ব্রাজিল-কোস্তা রিকা ম্যাচেও বলবাহক হিসাবে উপস্থিত ছিল। বেলজিয়াম-পানামা ম্যাচে ইডেন হ্যাজার্ড ও রোমেলু লুকাকুর সঙ্গে বল হাতে হেঁটেছিল ঋষি তেজ। এবার ফাইনালেও তারা ফিফার অফিসিয়াল ম্যাচ ক্যারিয়ার হিসাবে থাকবে এই দুই ভারতীয়।


আরও পড়ুন-  ‘তোমরা এখনই চ্যাম্পিয়ন’, দুই সতীর্থকে শুভেচ্ছা বার্তা নেইমারের


এত বড় মঞ্চে সুযোগ পেয়ে প্রথমে অনুভূতি বুঝে উঠতে পারছিল না ঋষি তেজ। বিশ্বকাপের ম্যাচের উত্তেজনা, ভরা গ্যালারি, তারকাদের ছড়াছড়ির মাঝে প্রথমদিকে কিছুটা নার্ভাস হয়ে পড়েছিল সে। তবে এখন ঋষির কাছে এসব স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো ব্যাপার। ঋষি রাজ বলছিল, ফুটবলের জন্যই এমন একটা দিন উপহার পেলাম। আমার কাছে ফুটবলই জীবন। প্রথমদিন খুব নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু পরে ভাবলাম এমন সুযোগ তো সবাই পায় না। আমরা পেয়েছি। এই সময়টা আমি সারা জীবন মনে রাখব। এখানে আসার পর বুঝলাম, বিশ্বকাপ নিয়ে মানুষের মধ্যে কেন এত উত্তেজনা! কত আয়োজন, কত মানুষের ভিড়, কত তারকা! স্বপ্নের মতো লাগল সব।



১০ থেকে ১৪ বছরের বাচ্চাদের নিয়ে প্রতিভা অন্বেষণের কাজ শুরু করেছিল সংস্থাটি। ফুটবল স্কিলের বিচারে বাকিদের হারিয়ে এই সুযোগ ছিনিয়ে নিয়েছে ঋষি ও নাথানিয়া। ভারতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী নিজের দাঁড়িয়ে থেকে এই দুজনকে স্কাউট করেছিলেন। ৫০ জন ছেলেমেয়ের মধ্যে থেকে এই দুজনকে পছন্দ হয়েছিল সুনীলের। ড্রিবলিং, জাগলিং ও শুটিংয়ের বিচারে হয়েছিল বাছাই পর্ব। সারা বিশ্ব থেকে ৬৪ জন খুদেকে বেছে নেওয়া হয়েছিল বিশ্বকাপের বলবাহক হিসাবে।