নিজস্ব প্রতিবেদন- করোনা অনেক কিছুই বদলে দেবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই জানিয়েছিল সে কথা। সাধারণ মানুষও এখন বুঝতে পারছেন, আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থা আবার ঢেলে সাজবে এই মারণ ভাইরাসের জন্য। ঠিক যেমন হয়েছিল বিশ্ব যুদ্ধের পর। আসলে মহামারীও তো কোনও যুদ্ধের থেকে কম ক্ষতি করে না। আর করোনার জন্য তো সারা বিশ্বে এখন অতিমারি অবস্থা। বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী ও উন্নত দেশগুলিও এই ভাইরাসের হাত থেকে মুক্তির পথ খুঁজে পাচ্ছে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও কোনও আশার কথা শোনাতে পারছে না। কেউ জানে না কবে এই ভাইরাসের হাত থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পাওয়া যাবে। ইতিমধ্য বহু দেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। প্রবল ক্ষতির মুখে পড়েছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শিল্পপতিরাও। কবে যে সুদিন ফিরবে কেউ জানে না!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

খেলার জগতে করোনার প্রভাব পড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। ক্রিকেট, ফুটবল থেকে শুরু করে বিশ্বের প্রায় সমস্ত খেলা দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। লকডাউনে ঘরবন্দি ছিল গোটা বিশ্ব। অবশেষে খেলা ফিরেছে মাঠে। তবে দর্শকহীন গ্যালারি খা খা করছে। দর্শক না থাকায় ক্রিকেটার, ফুটবলাররাও যেন উত্সাহ হারাচ্ছেন। কারণ দর্শকরাই খেলার জগতের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তারাই যদি মাঠমুখো না হতে পারেন তা হলে খেলোয়াড়দের উত্সাহের অভাব তো হবেই। তাছাড়া দর্শকরা মাঠে না আসায় আরও একটা সমস্যা হচ্ছে। কিছুদিন আগে দেখা গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা গ্যালারিতে চেয়ারের মাঝে বল খুঁজছিলেন। একে তো সাদা বল। তার উপর সাদা চেয়ার। ব্যাটসম্যান ছক্কা হাঁকানোর পর বল গিয়ে পড়েছিল গ্যালারিতে। তার পর সেটা খুঁজে আনতে হয়েছিল ফিল্ডারদের।



এবার দেখা গেল আরেক ছবি। অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটার মিচেল মার্শকে পার্কিং জোন থেকে বল কুড়িয়ে আনতে হচ্ছে। করোনা কালের বিড়ম্বনা! ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া একদিনের ম্যাচে এমনই ছবি দেখা গেল। ইংল্যান্ডের স্যাম বিলিংয়ের পেল্লাই ছক্কা আছড়ে পড়েছিল পার্কি জোনে। এখন তো দর্শকহীন স্টেডিয়াম। বল মাঠে ফেরত দেবে কে! অগত্যা যেতে হল মিচেল মার্শকে। আর তাঁর বল কুড়িয়ে আনার ভিডিয়ো ভাইরাল হল নিমেশে।