Wrestlers Protest At Jantar Mantar: `আমরা সব পদক ফিরিয়ে দেব`, মধ্যরাতে পুলিসের অভব্যতা, অঝোরে কাঁদছেন ভিনেশরা
Vinesh Phogat says Will return all medals won after being manhandled by Delhi Police: মধ্যরাতে দিল্লি পুলিস এসে চূড়ান্ত অভব্যতা করেছে আন্দোলনরত কুস্তিগিরদের সঙ্গে। যা মেনে নিতে পারছেন না ভিনেশ-সাক্ষীরা। এই অপমানে তাঁদের বুক ফেটে যাচ্ছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যন্তরমন্তরে বুধবার মধ্যরাতে যা ঘটে গেল, তা কাঙ্খিত ছিল না! এমনটাই বলছেল দেশের ক্রীড়ামহল। চ্যাম্পিয়ন কুস্তিগিররা রাজধানীর রাস্তায় বসে নীরবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, দিনের পর দিন, রাতের পর রাত ধর্না দিচ্ছেন তাঁরা। ন্যায়বিচারের দাবিতে ভিনেশ ফোগাট (Vinesh Phogat), সাক্ষী মালিক (Sakshi Malik) ও বজরং পুনিয়ারা (Bajrang Punia) সরব হয়েছেন। যৌন হেনস্থার দায়ে অভিযুক্ত জাতীয় কুস্তি সংস্থার (Wrestling Federation of India) সভাপতি ব্রিজ ভূষণ শরণ সিংকে (Brij Bhushan Sharan Singh) করতে হবে গ্রেফতার। এই একটাই দাবি কুস্তিগিরদের।
কুস্তিগীরদের দ্বিতীয় দফার আন্দোলনের একাদশ দিন পেরোতেই, ঘটে গেল অনভিপ্রেত ঘটনা। বিক্ষোভকারী কুস্তিগিরদের সঙ্গে বচসা এবং রীতিমতো হাতাহাতি হয় দিল্লি পুলিসের। মত্ত পুলিসকর্মীদের বিরুদ্ধে অভব্যতা ও গালিগালাজ করারও অভিযোগ এনেছেন ভিনেশরা। এমনকী দুই আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন, এবং তাঁদের এক জনকে হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। এই আন্দোলনের মুখ ভিনেশ এই অপমান আর যন্ত্রণা নিতে পারছেন না। অঝোরে কাঁদছেন ভিনেশ। বলছেন, 'আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাওয়া ও সরকারের দেওয়া সব পদক ফিরিয়ে দেব। আর কত সহ্য করব? আমাদের অপমান করা হয়েছে, টেনে হিঁচড়ে রাস্তায় নামানো হয়েছে।'তিনি আরও বলেছেন, 'আমরা কি এই দিনটি দেখার জন্য পদক জিতেছি? তিনি আরও বলেন, আমরা অপরাধী নই যে, তাঁরা আমাদের সঙ্গে এমন আচরণ করবেন। ঘটনাস্থলে মহিলা পুলিসের অনুপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ভিনেশের অভিযোগ, 'পুলিস আমাকে গালিগালাজ করেছিল এবং ধাক্কা দিয়েছে। মহিলা পুলিসকর্মীরা কোথায়?'।
আরও পড়ুন: ‘আমরা কি এই দিন দেখার জন্য পদক জিতেছি?’ পুলিসি আক্রমণের মুখে কুস্তিগীররা
অপ্রাপ্তবয়স্ক সহ কুস্তিগীরদের পক্ষে ৩২ ধারার অধীনে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে। দিল্লির পুলিশ কমিশনারকে ডব্লিউএফআই প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআর নথিভুক্ত করার আবেদন করা হয়েছিল। শুরুতে সেই আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। পিটিশনে অভিযোগ করা হয় যে, ডব্লিউএফআই সভাপতির বিরুদ্ধে এফআইআর নিবন্ধনের ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত দেরি হয়েছে। এমনকি ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে শুধুই যৌন হেনস্থা নয়, পকসো (প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস) আইনেও অভিযোগ রয়েছে। কুস্তিগিররা এরপর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সুপ্রিম রায়ে এবার কুস্তিগিরদের জোড়া এফআইআর জমা নিয়েছে দিল্লি পুলিস।