নিজস্ব প্রতিবেদন : তিনি বিশ্বমানের ব্যাটসম্যান। তবে মাঠে তাঁর মেজাজ নিয়ে অনেকে সমালোচনা করেন। বিরাট কোহলি নাকি একটু বেশিই আক্রমণাত্মক। বিরাট কোহলি প্রয়োজনের তুলনায় একটু বেশিই সমালোচনা করেন। ভারতীয় অধিনায়ক সম্পর্কে এসব কথা শোনা যায়। তবে মানবিক দিকের প্রসঙ্গ উঠলে বিরাট কোহলি যে সবার আগে সেটা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল ইডেনে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোলাপি বলের টেস্টে কোহলি যেন নিজেকে নতুন করে চেনালেন। বুঝিয়ে দিলেন, স্পোর্টসম্যান স্পিরিট কাকে বলে! ইডেনে কোহলির এমন মানবিক রূপ উদাহরণ হয়ে থেকে যাবে ক্রিকেট ইতিহাসে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইনিংসের ২১তম ওভারে মহম্মদ শামির বলে মাথায় আঘাত পান লিটন দাস। দ্রুত গতির বল সরাসরি এসে লাগে হেলমেটে। মাথা সরানোর সময় পাননি লিটন। আঘাত পাওয়ার পর বাংলাদেশ দলের ফিজিও মাঠেই লিটনের প্রাথমিক চিকিতসা করেন। লিটন এর পর ব্যাটিং চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। শামিকে পরের বলেই বাউন্ডারি মারেন লিটন। এর পরের ওভারে অবশ্য অস্বস্তি বোধ করেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান। এবং মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। ২২তম ওভারের চতুর্থ বল খেলেই রিটায়ার্ড হার্ট হন লিটন। লাঞ্চের পর ব্যাটিং করতে নামেন নাঈম হাসান ও এবাদত হোসেন। লাঞ্চের পর আবার শামির বাউন্সারে চোট পান নাঈম। 


আরও পড়ুন-  গোলাপ পোশাকে ইডেনে সানিয়া মির্জা, জানালেন কবে কোর্টে ফিরছেন!



কিছুক্ষণ আগেই লিটন মাথায় চোট পান। তাই বাংলাদেশ দলের ফিজিও তাঁর সুশ্রুষায় ব্যস্ত ছিলেন। আম্পায়ার মারে ইরাশমাশ বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমের দিকে ইশারা করতে থাকেন ফিজিওকে মাঠে পাঠানোর জন্য। কিন্তু বাংলাদেশের ফিজিওর দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিকে, তড়িঘড়ি চিকিত্সার প্রয়োজন ছিল নাঈমের। সেই সময় বিরাট ভারতীয় দলের ফিজিও নীতিন প্যাটেলকে মাঠে আসার জন্য ইশারা করেন। অধিনায়কের কথা শুনে নীতিন মাঠে এসে নাঈমের প্রাথমিক চিকিত্সা শুরু করেন। ইডেনে বিরাটের এই উদ্যোগ সবার নজর কাড়ল। কোহলির এমন মানবিক রূপ ও উপস্থিত বুদ্ধি যেন উদাহরণ তৈরি করল।