নিজস্ব প্রতিবেদন: সুইট স্পট। এই শব্দের আক্ষরিক অর্থ, ব্যাটের সেই স্পট যেখানে বল ঠিকঠাক লাগলে আর দেখতে হবে না! নয় তা বুলেট গতিতে বাউন্ডারিকে ছোঁবে, নয়ত তা হবে একটি হাওয়াই ফায়ার। ধারাভাষ্যকাররা প্রায়ই এই শব্দের ব্যবহার করে থাকেন ব্যাটসম্যানের টাইমিং বোঝাতে। মদ্দা কথা, ব্যাটে বলে হলে শব্দেই তা বোঝা যায়। হ্যাঁ ঠিক তাই। বিরাটের ট্রেনিং সেশন দেখলেই তা বুঝতে পারবেন।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজ।  প্রথম টেস্ট অ্যাডিলেড ওভালে। তার আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে বিরাট ব্রিগেড। দল যখন বিশ্রামে ছিল তখন ঘাম ঝড়িয়েছেন রোহিত শর্মা ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এবার সামনে এল বিরাট, রাহুলের নেট প্র্যাকটিসের ভিডিয়ো। স্টাম্প নিয়ে ব্যাটিং করছেন লোকেশ রাহুল। আর বিরাট যেন আছেন সপ্তম স্বর্গে।



পেস থেকে স্পিন, নেটে সাবলীলভাবে ব্যাট করতে দেখা গেল বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট ব্যাটসম্যানকে। পুল, হুক, কভার ড্রাইভ, স্ট্রেট ডাইভ, স্টেপ আউট করে মিড অনের উপর দিয়ে ‘বাউন্ডারি’। সঙ্গে আবার রিভার্স সুইপও। ৩৬০ ডিগ্রি বিরাট বললেও বেশি বলা হবে না! এক একটা শট যেন কপি বুক। স্টান্টস থেকে শরীরের ভারসাম্য, স্ট্রোক, অ্যাটিটিউড, ক্রিকেটের সব ব্যাকরণ যেন গুলে  খেয়ে এসেছেন বিরাট।


আরও পড়ুন- বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য আসন সংরক্ষণ করল ইডেন গার্ডেনস


চলতি বছরের শুরুতেই দক্ষিণ আফ্রিকায় তিনি সফল হয়ে ফিরেছেন। মাস কয়েক আগেও ইংল্যান্ডে তাঁকে বসতে হয়েছিল সব থেকে কঠিন পরীক্ষায়। সেখানেও তিনি সফল। জিমি অ্যান্ডারসন, স্টুয়ার্ট ব্রড, স্যাম কুরান, বেন স্টোকসদের বিরুদ্ধে হাল্লা বলেছেন বিরাট। এবার অস্ট্রেলিয়া। ক্রিকেট তাত্ত্বিকরা যদিও এ নিয়ে একেবারেই ভাবিত নন। তাঁরা ধরেই নিয়েছেন, যে বিরাট মিচেল জনসনকে বাউন্ডারি মেরে চুমু ছুড়ে দেয় সে কামিন্স, হ্যাজেলউড ও স্টার্ককে খুব সহজেই সামলে নেবেন।


আরও পড়ুন- অস্ট্রেলিয়ার দ্বাদশ ব্যক্তি ৬ বছরের আর্চি!


২০১৪-১৫ মরশুমে অ্যাডিলেডেই জোড়া শতরান ছিল বিরাটের। ভারত ওই টেস্ট হারলেও প্রথম (১১৫) ও দ্বিতীয় (১৪১), দুই ইনিংসেই শতরান করেছিলেন বিরাট কোহলি। এছাড়াও  মেলবোর্ন (১৬৯) ও সিডনিতেও (১৪৭) শতরান করেছিলেন তিনি। স্রেফ ব্রিসবন বাদ দিলে সব মিলিয়ে চার টেস্টে চার শতরান ছিল বিরাটের। এরপর যদি বিরাট বলেন, তার আর নতুন করে কিছু প্রমাণ করার নেই, ভুল কি-ই বা বলেছেন?