Virat Kohli, IND vs SL : অহেতুক বিতর্কে জড়িয়েই কি আবার খেই হারালেন কোহলি? উঠছে প্রশ্ন
Virat Kohli, IND vs SL : অনেকের দাবি ছিল ছন্দ হারানো বিরাটকে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে রাখা উচিত নয়। তবে এ বারও নিন্দুকদের গ্যালারিতে ফেলেছেন `কিং কোহলি`। সেটা তাঁর চলতি এশিয়া কাপের পারফরম্যান্স দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: খারাপ সময় কাটিয়ে ফিরে এসেছিলেন। একেবারে পুরনো আগ্রাসী মেজাজে না পাওয়া গেলেও চলতি এশিয়া কাপে (Asia Cup 2022) রানে ফিরেছিলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। কিন্তু ফের একবার বিতর্কে জড়িয়েই কি খালি হাতে ফিরলেন! মঙ্গলবার শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বিরুদ্ধে 'ডু অর ডাই' ম্যাচে বোল্ড হওয়ার পর থেকে এমনই আলোচনা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে গত ম্যাচে হারের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে মহেন্দ্র সিং ধোনির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বিসিসিআই (BCCI) কর্তাদের বিরুদ্ধে পরোক্ষভাবে নিন্দা করেছিলেন তিনি। এমনকি নাম না করে সুনীল গাভাসকরকেও (Sunil Gavaskar) কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন তিনি। বিরাটের এমন মন্তব্য মেনে নিতে পারেনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।
২.৪ ওভারে দিলশান মদুশঙ্কার (Dilshan Madushanka) বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন বিরাট। ৪ বল খেলে খাতা খুলতে পারেননি 'কিং কোহলি'। আড়াআড়ি শট খেলতে গিয়ে বলের লাইন মিস করেন তিনি। দলগত ১১ রানের মাথায় কেএল রাহুল লেগ বিফোর হয়েছিলেন। এ বার বিরাট বোল্ড হয়ে দলের চাপ আরও বাড়িয়ে দিলেন। স্বভাবতই ফের একবার নেটিজেনদের আলোচনার প্রসঙ্গ তিনি।
অনেকের দাবি ছিল ছন্দ হারানো বিরাটকে আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে রাখা উচিত নয়। তবে এ বারও নিন্দুকদের গ্যালারিতে ফেলেছেন 'কিং কোহলি'। সেটা তাঁর চলতি এশিয়া কাপের পারফরম্যান্স দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪ বলে ৩৫ করার পর, হংকং-এর বিরুদ্ধে করেছিলেন ৪৪ বলে ৫৯ রান। আর সুপার ফোরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের কাছে হারলেও তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ৪৪ বলে ৬০ রান। এমন প্রেক্ষাপটে কি বিরাটের বিতর্কিত মন্তব্য করা উচিত ছিল? তিনি কি ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাট করতে পারবেন? আলোচনা তুঙ্গে।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হারের পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছিলেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক। বিরাট বলেন, 'আমি যখন টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ি, এক জন মাত্র প্রাক্তন ক্রিকেটার আমাকে ফোন করেছিল। অনেকের কাছেই আমার নম্বর আছে। কিন্তু ফোন করেছিলেন শুধু মহেন্দ্র সিং ধোনি। এর থেকেই বোঝা যায় কে আমার ভাল চায়। একজনের সঙ্গে আর একজনের সম্পর্ক যদি জেনুইন হয়, একজনের প্রতি যদি সম্মান থাকে, তাহলে সেটা বোঝা যায়। না এমএস ধোনির থেকে আমার কিছু চাই। না এমএস আমার কাছ থেকে কোনও সাহায্য চেয়েছে। আমরা দুজন কেউ কাউকে নিয়ে নিরাপত্তার অভাবে ভুগি না। সেইজন্য আমাদের সম্পর্কটা রয়ে গিয়েছে।' অর্থাৎ কোহলির সাফ ইঙ্গিত ছিল, অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর ধোনি ছাড়া আর কাউকে পাশে পাননি তিনি। এরপরই প্রশ্ন ওঠা শুরু করে বিরাটকে বোর্ড এবং অন্য সতীর্থদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন?
আরও পড়ুন: Sunil Gavaskar vs Virat Kohli : ফের লেগে গেল! কোহলির মন্তব্যের কড়া জবাব দিলেন সানি
নাম জানাতে অনিচ্ছুক বোর্ডের এক কর্তার বক্তব্য,'সেই সময় সবাই বিরাটের পাশে দাঁড়িয়েছে। ওর সতীর্থদের থেকে শুরু করে বোর্ডের সবাই বিরাটের পাশে ছিল। যদি এটা বলা হয় যে কেউ ওর পাশে দাঁড়ায়নি, তাহলে সেটা ভুল বলা হবে। ওকে মাঝেমাঝেই বিশ্রাম দেওয়া হয়। ও যাতে নিজেকে চাঙ্গা করে নিতে পারে সেই সুযোগ দেওয়া হয়। তাছাড়া বিরাট যখন অধিনায়কত্ব ছাড়ল বোর্ডের সবাই ওকে সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছে। সুতরাং ও কেন এসব বলছে বোধগম্য হচ্ছে না।'
এমনকি নাম মুখে না এনে গাভাসকরকেও একহাত নিয়েছিলেন বিরাট। বলেছিলেন, ''সত্যি যদি আমার কথা কেউ ভেবে থাকে তা হলে সে আমাকে ফোন করে কথা বলতে পারত। আমি যদি কাউকে সাহায্য করতে চায়, তাহলে সেই লোকটার কাছে গিয়ে কথা বলব। পুরো দুনিয়াকে ঢাকঢোল পিটিয়ে জানাতে যাব না। যদি আপনি পুরো দুনিয়ার সামনে কাউকে সাহায্য করেন, তাহলে এর কোনও মূল্য নেই। আমার ব্যাটিংয়ের উন্নতির জন্য ওয়ান টু ওয়ান কথা বলা যেতেই পারে। আসলে আমি খুব সৎভাবে জীবনযাপন করি। তাই বাইরের ঘটনা আমাকে মাঝেমধ্যে প্রভাবিত করে।'
সানিও চুপ থাকার পাত্র নন। তিনিও বিরাটকে পালটা দেন। সেই চাপটাই বিরাট নিতে পারলেন না? মরণ বাঁচন ম্যাচে খালি হাতে আউট হলেন, এই মানসিক চাপ বজায় রাখতে না পারার জন্যই? ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়ে গিয়েছে।