নিজস্ব প্রতিবেদন: পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমের (Babar Azam) কাছে ওয়ানডে ক্রিকেটের সিংহাসন হারিয়েছেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। হতে পারে ৫০ ওভারের ফর্ম্যাটে কোহলির ১৩৫৮ দিনের রাজত্ব শেষ হয়েছে সাময়িক ভাবে সাম্প্রতিক ফর্মের ভিত্তিতে। কিন্তু শেষ ১০ বছরে কোহলির বাইশ গজ শাসনের গল্পটা ভোলা সম্ভব নয়। ২০১০ থেকে ২০২১ পর্যন্ত একদিনের ক্রিকেটে কোহলি ১১ হাজারের ওপর রান করেছেন! ৬০ এর গড়ে ৪২টি সেঞুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। আর যার সুবাদে উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্য়ালমানাক (Wisden Cricketers' Almanack) কোহলিকে গত এক দশকের সেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার হিসাবে বেছে নিল। ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের সদস্য ছিলেন কোহলি। ক্রিকেটের তিন ফর্ম্যাটেই নিজেকে বিশ্বসেরা হিসাবে নিজেকে প্রমাণিত করেছেন কোহলি। মূলত পঞ্চাশ ওভারের ফর্ম্যাটে তিনি ঝলসেছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: IPL 2021: Glenn Maxwell বলছেন অস্ট্রেলিয়াতেই Virat Kohli তাঁকে সতীর্থ হওয়ার প্রস্তাব দেন!


১৯৭১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত সময়সীমা বেছে নিয়েছে উইজডেন। প্রতি দশক থেকে একজন করে ক্রিকেটারকে বেছে মোট পাঁচজনকে নিয়ে তালিকা বানিয়েছে উইডডেন। শ্রীলঙ্কার স্পিন কিংবদন্তি মুথাইয়া মুরলীথরন (Muttiah Muralitharan) ২০০০-এর সেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার হয়েছেন। তাঁর সৌজন্যেই শ্রীলঙ্কা ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেছিল।  সেই দশকে তিনি ৩৩৫টি উইকেট নেন। এক দশকে এত বেশি উইকেট আরও কোনও বোলারের নেই। ক্রিকেট ঈশ্বর সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar) ও দেশের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক কপিল দেবকে নয় ও আটের দশকে সেরা হয়েছেন। ১৯৯৮ সালে সচিন ন'টি ওয়ানডে সেঞ্চুরি করেছিলেন। এক ক্যালেন্ডার বর্ষে কোনও ক্রিকেটার এত বেশি সেঞ্চুরি করেনি। অন্যদিকে কপিল ১০০০ রান করেছিলেন ৮০ সালে। সে বছর সর্বোচ্চ স্ট্রাইকরেট ছিল সচিনের। এছাড়াও ১৯৮৩ সালে ভারতকে প্রথমবার বিশ্বকাপ জেতান তিনি।১৯৭০ সালে ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি স্যার ভিভ রিচার্ডস (Viv Richards) বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটার হন। সেই দশকই ছিল পঞ্চাশ ওভারের ফর্ম্যাটে প্রথম। ভিভের ব্যাটে বাইশ গজে তাণ্ডব করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৯৭০ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে শতরান করে দেশকে বিশ্বকাপ জেতান রিচার্ডস।