নিজস্ব প্রতিবেদন- একজন লিখলেন, ''কোহলির ভক্ত নই আমি। কিন্তু আজ ওকে দরকার ছিল।'' আরেকজন আবার লিখলেন, ''অজিদের জব্দ করতে কোহলিই পারফেক্ট।'' Sydney Test-এ পর পর দুদিন বর্ণবিদ্বেষের শিকার হলেন মহম্মদ সিরাজ ও জসপ্রিত বুমরা। তার পরই ভারতীয় সমর্থকদের বিরাট কোহলির কথা মনে পড়ল। অনেকেই মেনে নিলেন, কোহলির আগ্রাসন অজিদের বিরুদ্ধে একেবারে সঠিক। অজিরা সেই ব্যবহারের যোগ্য। সিডনি বরাবরই বর্ণবিদ্বেষের আঁতুরঘর। ভারতীয় ক্রিকেটাররা এর আগেও বারবার সিডনিতে খেলতে নেমে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার সকালেও সিডনিতে একদল দর্শক সিরাজকে লক্ষ্য করে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করেছিল। যদিও তৃতীয় দিনের শেষেই ফিল্ড আম্পায়ার ও Cricket Australia-র নিরাপত্তা আধিকারিকদের বর্ণবিদ্বেষের ব্যাপারটি জানিয়েছিলেন অধিনায়ক রাহানে ও সিরাজ। রবিবার একই ঘটনা ঘটার পর ছজন দর্শককে মাঠ থেকে বের করে দেন নিরাপত্তা আধিকারিকরা। বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিং করার সময় বারবার সিরাজকে লক্ষ্য করে বর্ণবিদ্বেষী টিটকিরি করছিলেন কিছু দর্শক। ম্যাচের ৮৬তম ওভারের পর এই নিয়ে আম্পায়ারের কাছে অভিযোগ জানান সিরাজ। তার পর ১০ মিনিট খেলা বন্ধ ছিল।


আরও পড়ুন-  Ind vs Aus: বর্ণবিদ্বেষে কলঙ্কিত ক্রিকেট, ক্ষমা চাইল Cricket Australia




আইসিসি ইতিমধ্যে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার কাছে রিপোর্ট চেয়েছে। বর্ণবিদ্বেষের ব্যাপক নিন্দা করেছে ICC. ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও ক্ষমা চেয়েছে ইতিমধ্যে। মাঠে না থাকলেও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন বিরাট কোহলিও। তিনি এদিন টুইটে লিখলেন, ''ক্রিকেটে বর্ণবিদ্বেষ একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে ফিল্ডিং করার সময় অনেকবার কুরুচিকর মন্তব্য শুনতে হয়েছে। তাই এই ধরণের অভদ্র ব্যবহার কতটা ব্যথা দেয় জানি। মাঠে এই ধরণের ঘটনা দুঃখ দেয়।'' কোহলি এই ঘটনাকে সিরিয়াস ইস্যু হিসাবে দেখার আর্জি জানিয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপেরও আবেদন করেছেন তিনি।