Virat Kohli: ঠিক যেন `মোটিভেশনল স্পিকার`! কোহলির ইনস্টা স্টোরি বদলে দেবে জীবনের দৃষ্টিভঙ্গি
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে বিশ্রাম নেওয়া বিরাট ফের একবার স্বমহিমায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটাই কথা, `দ্য কিং ইজ ব্যাক`! রাজার প্রত্যাবর্তনে নেটদুনিয়া কাঁপুনি ধরে গিয়েছে। যে বিরাট মাঠে নিজের ছায়া হয়ে বিচরণ করছিলেন, সেই বিরাট বুঝিয়ে দিলেন যে, তাঁকে ছেঁটে ফেলার কথাও যেন কেউ না ভাবে। ভিতরের রানের আগুন এখনও নেভেনি।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক ও ব্যাটিং মায়েস্ত্রো বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ফিরেছেন ফর্মে। দীর্ঘ নীরবতার পর ফের সরব তাঁর ব্যাট। চলতি এশিয়া কাপে (Asia Cup 2022) দারুণ ছন্দে আছেন 'কিং কোহলি'। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ডু-আর-ডাই ম্যাচে মাঠে নামার আগে, কোহলি তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এমন বক্তব্য তুলে ধরলেন, যা বদলে দিতে পারে জীবনের দৃষ্টিভঙ্গি। কোহলি ইনস্টা স্টোরিতে লিখেছেন, 'যারা আপনার জন্য খুশিতে খুশি হয়, আপনার দুঃখে ব্যথিত হয়, তাঁদেরকে খেয়াল করুন। তারাই আপনার হৃদয়ে বিশেষ জায়গায় থাকার দাবিদার।' এর সঙ্গেই কোহলি 'ওয়ার্ড' ও হাতে হাত মেলানোর ইমোজি জুড়ে দিয়েছেন। কোহলি কি এই বার্তা তাঁর প্রাক্তন অধিনায়ক এমএস ধোনির (MS Dhoni) উদ্দেশ্যেই লিখলেন? এই প্রশ্নও উঠে আসছে এখন।
ধোনির প্রসঙ্গ ওঠার কারণ আছে যদিও। কারণ ভারত-পাক ম্যাচের পর সাংবাদিক বৈঠকে এসে কোহলি বোমা ফাটিয়ে ছিলেন। বিরাট বলেছিলেন, 'আমি যখন টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ি, তখন একজন প্রাক্তন ক্রিকেটারই আমাকে ফোন করেছিলেন। অনেকের কাছেই আমার ফোন নম্বর আছে। কিন্তু ফোন করেছিলেন শুধুই এমএস ধোনি। এর থেকেই বোঝা যায় কে আমার ভাল চায়। দু'জনের সম্পর্ক যদি প্রকৃত হয়, সেখানে সম্মান থাকে, তাহলে সেটা বোঝা যায়। না এমএস ধোনির থেকে আমার থেকে কিছু চেয়েছেন, না আমি তাঁর থেকে কোনও সাহায্য চেয়েছি। আমরা দু'জন কেউ কাউকে নিয়ে কখনও নিরাপত্তা হীনতায় ভুগি না। এই কারণেই আমাদের সম্পর্কটা রয়ে গিয়েছে।' যদিও কোহলির এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, 'বুঝতে পারছি না ও কেন এমন মন্তব্য করেছে! সবাই তো ওর পাশে দাঁড়িয়েছে!'
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে বিশ্রাম নেওয়া বিরাট ফের একবার স্বমহিমায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটাই কথা, 'দ্য কিং ইজ ব্যাক'! রাজার প্রত্যাবর্তনে নেটদুনিয়া কাঁপুনি ধরে গিয়েছে। যে বিরাট মাঠে নিজের ছায়া হয়ে বিচরণ করছিলেন, সেই বিরাট বুঝিয়ে দিলেন যে, তাঁকে ছেঁটে ফেলার কথাও যেন কেউ না ভাবে। ভিতরের রানের আগুন এখনও নেভেনি। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৪ বলে ৩৫ রান করেছিলেন বিরাট। তিনটি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো ইনিংসে তিনি বুঝিয়েছিলেন যে, তিনি ফিরছেন। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে হংকংয়ের বিরুদ্ধে কোহলি বার্তা দিয়ে রাখলেন যে, ব্যাটের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করে দিয়েছেন তিনি। ৪৪ বলে ঝকঝকে ৫৯ রানের (দেশের জার্সিতে ৩১ নম্বর টি-২০ অর্ধ-শতরান) অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন কোহলি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুপার ফোরের ম্যাচে ফের হাফ-সেঞ্চুরি করেন তিনি। ৪৪ বলে ৬০ রানের ঝকঝকে ইনিংস এসেছে বিরাটের ব্যাট থেকে।