ওয়েব ডেস্ক: কমলা টুপির মালিক, তিনিই গোটা আইপিএলের 'ম্যান টু ওয়াচ', টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে দলকে সেমিতে তোলার নায়ক সেমিফাইনালে কত রান করলেন? ২ বলে শূন্য। স্বাভাবিক নিয়মে যে খেলোয়াড় ১৫ ম্যাচে একটানা দলের জন্য রান করেন, তাঁর একটা ম্যাচে শূন্যতে কী এসে যায়? এসে যায়, যখন ক্রিকেটারের নাম হয় 'বিরাট কোহলি'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজই 'হাজারদুয়ারির' পথে যাচ্ছিলেন বিরাট। আইপিএলের একমাত্র ক্রিকেটার যিনি কোনও এক আইপিএল সেশনে ১০০০ রানের এতটা কাছে। একই সেশনে আইপিএলে ৪টি সেঞ্চুরি, এই নজিরও একমাত্র বিরাটের। ১১৩ সর্বোচ্চ। ১৫ ম্যাচে ৩৬ ছয়। ফর্মের চূড়ান্ত শিখর থেকে যেভাবে পড়লেন তাতে বিরাটের চোট না লাগলেও আজ যারা 'বিরাট বাজি' ধরেছিলেন তাঁদের 'হার্ট অ্যাটাক'।


সেমিফাইনালে গুজরাটের বিরুদ্ধে বিরাটের অভিব্যক্তিগুলো ভাল করে মনে করুন। কখনও ক্যাচ ধরে চুমু ছুঁড়ে দেওয়া, কখনও ক্যাচ ধরে রেগে বল ছুঁড়ে দেওয়া। কখনও টূপি খুলে 'বাও'। এত নতুন কিছু নয়। বিরাট এমনটা করেই থাকেন। যে ম্যাচে চাপ বেশি সে ম্যাচে বিরাট ভাল খেলবেন এটা যেন 'মিথ'। তবে ক্রিকেট ক্লাসে, যেটা সবসময় ক্রিকেটারদের কাছে মন্ত্র, তা হল 'মাথা ঠাণ্ডা' ও নিজেকে 'শান্ত রাখা'। মেশিনে রান হচ্ছিলই। একবার নয়, টানা ১৫ ম্যাচ, আর যখন ব্রেক ফেল হল, তখন একেবারে '০'। নৃশংস ক্রিকেট উপহার দেওয়া বিরাটের হয়ত মনসংযোগে ঘাটতি ছিল কয়েক সেকেন্ডের জন্য, আর তাতেই গণ্ডগোল। সমালোচনা নয়, বিরাট সামনের ম্যাচে হয়ত আবার রানে ফিরবেন, তবে আজকের আউট হওয়াটা, ধবল কুলকার্নির বলে 'অফ সাইডের বাইরের বল আন্ডার এজ হয়ে বোল্ড', এই ছবি বিরাটের কাছ থেকে কখনও দেখেছেন? ভেবে দেখবেন।