নিজস্ব প্রতিবেদন- লাদাখে ভারতীয় জওয়ানদের শহিদ হওয়ার পর থেকেই গোটা দেশে চিনবিরোধী রব। চিনের যে কোনও জিনিস বর্জনের আহ্বান দিয়েছে সরকার। ফলে দেশবাসীর মধ্যে চিনের প্রতি বিতৃষ্ণা জন্মেছে। এরই মধ্যে বিসিসিআই চিনের সংস্থা ভিভো-র সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করেছে। ফলে আইপিএলে এবার নতুন সংস্থা। কিন্তু আইপিএলের নতুন স্পনসর ঘোষণা হওয়ার পরও অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। অনেকেরই দাবি, নতুন স্পনসর হওয়া সংস্থাতেও চিনের লোকের শেয়ার রয়েছে। ঘুরেফিরে তো সেই চিনের টাকা আইপিএলে বিনিয়োগ হচ্ছেই। তা হলে আর ভিভো-কে স্পনসরশিপ থেকে সরানোর মানে কী! পুরোটাই কি লোকদেখানো!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আইপিএলের নতুন স্পনসর সংস্থা নিজেদের চিনা কোম্পানি বলে মানতে নারাজ। তাদের সরাসরি প্রশ্ন, ''কে বলল আমরা চাইনিজ কোম্পানি!'' আইপিএল শুরুর আগে প্রশ্ন ওঠায় সংস্থার কর্ণধাররা বেশ বিরক্ত। ২২২ কোটি টাকর চুক্তিতে এবার আইপিএলের প্রধান স্পনসর হয়েছে এই সংস্থাটি। সেই সংস্থার মুখপা্ত্র এদিন বলেছেন, ''আমরা একেবারে ভারতীয় সংস্থা। ভারতের বাজারেই আমাদের বেড়ে ওঠা। আমাদের সংস্থায় ৪০০ জন ভারতীয় কাজ করে। এই সংস্থা সামলানোর গুরুদায়িত্বে রয়েছেন ভারতীয়রা। অকারণে আমাদের চিনের সংস্থা বলে রটানো হচ্ছে। আমাদের সংস্থায় বিনিয়োগকারীদের বেশিরভাগ ভারতীয়। প্রোডাকশন থেকে শুরু করে সংস্থা পরিচালনার পদ্ধতি সবই ভারতীয় প্রেক্ষাপটের উপর নির্ভরশীল। তা হলে কেন এমন প্রশ্ন উঠছে!''


আরও পড়ুন-  সেই পুরনো ধোনি! আকাশছোঁয়া ছক্কা মারছেন, সবাই দেখছে হা হয়ে, দেখুন


যদিও নতুন স্পনসর হওয়া সংস্থায় যে চিনের কোনও শেয়ার নেই, তা কিন্তু অস্বীকার করতে পারলেন না সেই মুখপাত্র। তিনি বললেন, ''আমাদের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একজনমাত্র চিনের। তবে সংস্থায় তাঁর শেয়ার খুবই কম। তার মানে তো এই নয় যে চিনের টাকাতেই আমাদের সংস্থা পরিচালিত হচ্ছে!'' ফ্যান্টাসি লিগ স্পোর্টস প্ল্যাটফর্ম চালানো এই সংস্থাটি এবার আইপিএল স্পনসর হতে পেরে নিজেদের গর্বিত বলে মনে করছে। সংস্থার কর্ণধাররা মনে করছেন, দুবাইতে এবারের আইপিএল আগেরবারের সব রেকর্ড ভেঙে দেবে। উল্লেখ্য, ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে আইপিএলের ১৩তম আসর। চলবে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত।