নিজস্ব প্রতিনিধি : সতেরো বছর আগে তিনি বল করেছিলেন। অদ্ভুত সে ডেলিভারি অ্যাকশন। এখনও ভারতীয় সিনেমা-ভক্ত কাউকে সেই ভিডিও দেখালে এক দেখায় বলে দেবেন, গোলি-র কথা। সেই গোলি। সেই ২০০১-এ প্রকাশ পাওয়া লাগান সিনেমার গোলি। যে কিনা ছুটে এসে একখানা অদ্ভুত অ্যাকশনে বোলিং করত। ডান হাত তবে সেটা তো পর্দার ক্রিকেট। পর্দায় বোলিং। পর্দার চরিত্রের অ্যাকশন। পুরোটাই কল্পনা-চিত্র। বাস্তবে আবার এমন ডেলিভারি হয় নাকি! আলবাত্ হয়। বাস্তবে ক্রিকেটে সেটাই দেখালেন উত্তরপ্রদেশের বাঁ-হাতি স্পিনার শিবা সিংহ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  আর কোনও ছবিতেই সই করছেন না অনুষ্কা! গুঞ্জন, বাবা হচ্ছেন বিরাট


অনূর্ধ্ব-২৩ সিকে নাইডু ট্রফিতে উত্তরপ্রদেশ বনাম বাংলার ম্যাচে বাঁ-হাতি স্পিনার শিবা সিংহ অদ্ভুত ডেলিভারি করে বিতর্ক ছড়ালেন। বল হাত থেকে রিলিজ করার আগে প্রায় ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন তিনি। শিবার সেই ডেলিভারি কোনওমতে সামাল দিলেন ব্যাটসম্যান। কিন্তু আম্পায়ার বিনোদ সেশান প্রায় সঙ্গে সঙ্গে ডেড বল ঘোষণা করেন। এই ধরণের অদ্ভুত অ্যাকশন ব্যাটসম্যানের ফোকাস নষ্ট করতে পারে বলে জানান তিনি। তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ ছিলেন শিবা। এমনকী তাঁর সতীর্থরাও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে আপত্তি প্রকাশ করেন। তাঁদের দাবি, শিবার এমন অ্যাকশন বেআইনি কিছু নয়। কিন্তু আম্পায়ার বিনোদ সেশান নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল ছিলেন। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এমন বোলিং অ্যাকশন ক্রিকেটের নিয়ম বিরুদ্ধ।


আরও পড়ুন-  ‘বিরাট ফেডেরারের ফ্যান, তাঁরও উচিত দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া’


চলতি বছরের গোড়ার দিকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলেছেন শিবা। সেখানে অবশ্য তাঁকে এমন বিতর্কিত বোলিং অ্যাকশনে দেখা যায়নি। অনেকেরই মত, এদিন অনেকটা পরীক্ষামূলকভাবেই নতুন অ্যাকশন প্রয়োগের চেষ্টা করেন তিনি। যা কিনা প্রথম চেষ্টাতেই আম্পায়ারারের হস্তক্ষেপে ব্যর্থ। ক্রিকেট আইনের ৪১.২ ধারায় রয়েছে, কোনও বোলিং অ্যাকশন-এর নৈতিকতা বিচার করবেন আম্পায়াররা। পরিস্থিতি অনুযায়ী ডেড বল ডাকার সিদ্ধান্ত আম্পায়ারদের। ৪১.৯ ধারাতে বলা নিয়মও অনেকটা একই রকম। সেক্ষেত্রে আম্পায়ার দলের অধিনায়ককে ডেকে সতর্ক করবেন। পরিস্থিতি অনুযায়ী বিচার করে পাঁচ রানের পেনাল্টি দিতে পারেন।