নিজস্ব প্রতিবেদন- কেন বিক্রি হয় ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি - র মতো ফর্সা হওয়ার ক্রিম? প্রশ্ন তুললেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটার দ্যারেন স্যামি। আউটলুক ম্যাগাজিনে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন স্যামি। সেখানেই তিনি প্রশ্ন করেছেন,  ''...তার মানে যাঁরা ফর্সা তারাই একমাত্র লাভলি, তাই তো? এই সংস্থার নামের মনে তো এমনই! আসলে এই ধরনের নামগুলোও বর্ণবিদ্বেষের উদাহরণ।'' কিছুদিন আগে বিশ্ব ক্রিকেট তোলপাড় হয়েছিল স্যামির এক দাবিতে। তিনি বলেছিলেন, আইপিএলে খেলার সময় হায়দরাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজির কয়েকজন সতীর্থ তাঁকে কালু বলে ডাকতেন। সেই ঘটনায় অনেকেই ভারতীয় পেসার ইশান্ত শর্মাকে সন্দেহ করেছিলেন। যদিও শেষমেশ স্যামি কারও নাম বলেননি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্যামি এর পর একদিন হঠাৎ করেই বয়ান বদল করেছিলেন। তিনি আবার পোস্ট করে লিখেছিলেন, সেই সতীর্থ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, আন্তরিকতা থেকেই কালু বলে ডাকা হত স্যামিকে। এর পিছনে বর্ণবিদ্বেষের কোনও যোগ ছিল না। স্যামি ওই সতীর্থের কথা মেনে নিয়ে তাঁকে নিরপরাধ ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু এবার ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি সংস্থার বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার হয়েছেন। স্যামি বলেছেন, ''''আমাদের বুঝতে হবে কিছু শব্দ আমার উল্টোদিকে থাকা মানুষকে আঘাত করতে পারে। বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য চিহিত করতে হবে। মানুষকে সঠিক শিক্ষা দিতে হবে। আমি ভারতের ক্রিম প্রস্তুতকারক সংস্থাকেও বলেছি। এই ধরনের নাম বা ক্যাম্পেইন বর্ণবিদ্বেষকে প্রশ্রয় দেয়।''


আরও পড়ুন-  জন্মদিনে ধোনিকে 'স্পেশাল গিফট' দিতে চান ব্র্যাভো!


ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি সংস্থা অবশ্য আগেই জানিয়েছে যে তারা নাম পরিবর্তন করবে। এমনকী তারা জানিয়েছিল যে ক্রিমের নামের পেছনে তারা কোনরকম বর্ণবাদকে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রশ্রয় দেননি। আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের পুলিস হেফাজতে মৃত্যু হওয়ার পর সারা বিশ্বের কৃষ্ণাঙ্গ সমাজ একজোট হয়ে লড়াই করছে। স্যামিও নিজেকে সেই লড়াইয়ে সামিল করেছেন। তিনি বলেছেন, ''আমাকে বলা হয়েছিল এটাই নাকি ভারতীয় সংস্কৃতি। তবে সংস্কৃতি বলেই যে সেটা ঠিক এমনটা মেনে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। বর্ণবাদ নিয়ে প্রতিবাদের সময় এসেছে।  কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর অত্যাচারের ইতি টানা প্রয়োজন।''