সানরাইজার্স হায়দরাবাদ- ১৪২/৭
কলকাতা নাইট রাইডার্স- ১৪৬/২ (১৮.২ ওভার)


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ওয়েব ডেস্ক: হায়দরবাদের চড়া গরমে কুল কুল জয় কলকাতা নাইট রাইডার্সের। তিন ম্যাচে দুটো জিতে আইপিএল নাইনের শুরুটা ভালই হল কেকেআর-এর। শনিবার উপলে ১৪২ রান যে কায়দায় কেকেআর তাড়া করে জিতল, আর ফ্যান যে ভাবে বক্স অফিসে কাপাচ্ছে তাতে  তাতে শাহরুখ এখন দুনিয়ার সুখিতম মানুষের নাম হওয়ার কথা। ১৪২ রানটা কখনই টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে বড় স্কোর বলা যায় না। তবু যে দলে ব্যাটিংয়ে বড় নাম নেই তাদের শুরুর ম্যাচগুলো নিয়ে টেনশনই থাকার কথা। কিন্তু ওপেনিংয়ে উথাপ্পা আর গম্ভীর যে ৯২ রানের পার্টনারিশিপটা খেলে দিলেন তাতে মুখের হাসি চওড়া হল কেকেআর ফ্যানেদের। ৬০ বলে ৯০ রানের অপরাজিত ইনিংস শেষে গম্ভীরের আফশোসই হওয়ার কথা।


কারণ এমন একটা দিনে সেঞ্চুরি না করলে ব্যাটসম্যানরই সবচেয়ে খারাপ লাগে। শুরুর দিকে কয়েকটা বলে ফায়দা তুলে নিতে পারলে আজ সেঞ্চুরি বাধা ছিল গম্ভীরের। উথাপ্পার ৩৮ রানটাও অনায়াসে হাফ সেঞ্চুরি হতেই পারত, যদি না ক্লান্তিকর শটটা ওভাবে আড়াআড়ি খেলতেন। একটাই শুধু প্রশ্ন এমন একটা সময় রাসেলকে তিন নম্বরে নামানোর প্রয়োজন কি সত্যিই ছিল?এমন একটা জয়ের দিনে অবশ্য ওমন বেয়াড়া প্রশ্ন করতে নেই। কেকেআর-এর দারুণ রানা তাড়া করাটা আজ ভুলিয়ে দিল আগের দুটো ম্যাচের চার বিদেশীর মধ্যে তিনজনই খেললেন না। চোটের জন্য পাওয়া গেল না হেস্টিংসকে। মুনরোকে বসিয়ে নামানো হল সাকিবকে। আর হগের পেটে ব্যথা নারিনের প্রত্যাশিত অন্তর্ভুক্তির রাস্তাটা আরও চওড়া করল। হেস্টিংসের জায়গায় সুযোগ পেয়ে প্রথম স্পেলটা দারুণ করলেন মর্কেল।


নারিন উইকেট না পেলেও বুঝিয়ে দিলেন তিনি এবারও কিছু একটা স্পেশাল করতে চান। তবে ম্যাচের সেরা বোলার অবশ্য উমেশ যাদব (৩/২৮)। যদিও ৫০ রানে ৪ উইকেট থেকে ১৪১ রান তুলে কেকেআর-এর বোলিংয়ের ক্ষুরধার ভাবটা কিছুটা ভোঁতা করে দিলেন মর্গ্যান (৫১), নমন ওঝা (৩৭)। যুবরাজ সিং, আশীষ নেহরা, কেন উইলিয়ামসন। তিন তারকা ক্রিকেটারের চোটে একেবারে সূর্যাস্ত হয়ে বসে আছে সান রাইজার্স দলের। তবু যারা ছিলেন তারা নাইটেদর ফ্যানস্টাটিক ফর্মে কুপকাত্‍। চারমিনারের শহরে কেকেআরের গম্ভীর স্তম্ভ।