নিজস্ব প্রতিবেদন : এক বলে ২৮৬ রান। শুনে আপনার অসম্ভব বলে মনে হতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এমনটা ঘটেছিল। মাত্র এক বলে হয়েছিল ২৮৬ রান! এমন একটা রেকর্ডের কথা অনেকেই হয়তো জানেন না। বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সেমিফাইনালে ওঠার অঙ্ক কষতে গিয়ে উঠে এল সেই বহুপুরনো ঘটনাটা। পাকিস্তানের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে ওঠা এখন কার্যত অসম্ভব বললেই চলে। আজকের ম্যাচে পাকিস্তান ৩৫০ রান করলে বাংলাদেশকে ৩৮ রানে অল-আউট হতে হবে। পাকিস্তান ৪০০ রান করলে বাংলাদেশকে ৮৪ রানে অল-আউট করতে হবে। আর বাংলাদেশ যদি প্রথমে ব্যাট করে তা হলে পাকিস্তানের সেমিতে খেলার আর কোনও সুযোগ নেই। এমন একটা সময় পাকিস্তানের সমর্থকরাই তাঁদের দল নিয়ে ঠাট্টা-তামাশায় মেতেছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  ১৮ বছর বয়সী এক আফগান ভেঙে দিলেন সচিনের ২৭ বছরের পুরনো রেকর্ড



ক্রিকেটের ইতিহাসে এমন অনেক কাণ্ডই রয়েছে যেগুলো শুনলে প্রথমে বিশ্বাস করা যাবে না। রেকর্ড বুকে চোখ বোলাতে বোলাতে অবাক হওয়া ছাড়া কিছু করার থাকবে না। পাকিস্তান কিন্তু এখনও আশা ছাড়েনি। তারা মনে করছে আজকের ম্যাচে অভাবনীয় কিছু একটা হতেই পারে। ঠিক এক বলে ২৮৬ রান হওয়ার মতো। আর সমর্থকরাও ওই এক বলে ২৮৬ রান হওয়ার ঘটনাটা তুলে ধরছেন। পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের আশার আলো দেখানোর জন্য। অনেকেই আবার ঠাট্টাও করছেন। এই বলে যে পাকিস্তানকে প্রথমে ব্যাটিং করে ৪৫০ রান তুলতে হবে। তার পর গোটা বাংলাদেশ দলকে বাথরুমে আটকে রাখতে হবে! 


আরও পড়ুন-  পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলেই অবসর নিচ্ছেন মাশরাফি মোর্তাজা!


কিংবদন্তিরা বলেন, ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া বনাম ভিক্টোরিয়ার এক ম্যাচে এক বলে ২৮৬ রান হয়েছিল। ১৮৯৪ সালের ঘটনা। ব্যাটসম্যান শট মারার পর বল গিয়ে আটকে গিয়েছিল একটি গাছের ডালে। সেই গাছটি ছিল মাঠের মধ্যেই। বিপক্ষ দলের ক্রিকেটাররা আম্পায়ারের কাছে আবেদন করেছিলেন, লস্ট বল ঘোষণা করার জন্য! কিন্তু আম্পায়ার মানতে চাননি। কারণ, বলটা গাছের ডালের ফাঁক থেকে দেখা যাচ্ছিল। তাই বল হারিয়ে যাওয়ার যুক্তি মেনে নেওয়া যায় না। ওদিকে, ব্যাটসম্যান সিঙ্গলস নিয়ে ২৮৬ রান করেছিলেন। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা যতক্ষণ আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে মেতেছিলেন ততক্ষণে ভিক্টোরিয়ার ব্যাটসম্যানরা সিঙ্গলস নিতে শুরু করেছিলেন। এর পর গাছ কেটে বল মাঠে ফেরানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। তাতেও সাফল্য আসেনি। শেষে রাইফেল দিয়ে তাক করে গুলি ছুড়ে বল ফেরত আনা হয়। কিন্তু ততক্ষণে ২৮৬ রান তুলে ফেলেছিল ভিক্টোরিয়া। এই ম্যাচের কোনও রেকর্ড নেই। তাই এটাকে নেহাতই ক্রিকেটীয় রূপকথা বলে ধরা হয়।