নিজস্ব প্রতিবেদন : ২০০৪ সালে ভারতের পাকিস্তান সফরের সময় তত্কালীন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ ফোন করেছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। সেদিন ফোন করে মহারাজকে কী বলেছিলেন মুশারফ? নিজের আত্মজীবনীতে সেকথাই লিখেছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিজের বই 'আ সেঞ্চুরি ইজ নট এনাফ'- এ মহারাজ লিখেছেন, "মাঝরাতে হঠাত্ দেখি আমার বন্ধুরা মিলে প্ল্যান করছে পাকিস্তানের গলমান্ডির বিখ্যাত ফুড স্ট্রিটে কাবাব ও তন্দুরি চিকেন খেতে যাবে। এটা শোনার পরেই আমি লোভ সামলাতে না পেরে সিকিউরিটি অফিসারকে না জানিয়ে টিম হোটেলের বাইরে বেরিয়ে পড়ি। শুধুমাত্র টিম ম্যানেজার রত্নাকর শেঠিকে বলে গিয়েছিলাম। কারণ, আমি নিশ্চিত ছিলাম, সিকিউরিটি অফিসারকে বললে আমাকে যেতে দিত না ।"


আরও পড়ুন- সাফল্য পাব বলেই প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠতাম: সৌরভ


"নিয়ম ভাঙছি জেনেই মুখ ঢেকে, টুপি পরে আমি হোটেলের পিছনের দরজা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে যাই। কিন্তু ভয় ছিল যদি কেউ চিনে ফেলে। আর হলও তাই। একজন জিজ্ঞাসা করেছিলেন, আপনি সৌরভ না? আমি চাপাস্বরে না বলে পাশ কাটিয়ে চলে যাই।"


"ফুড স্ট্রিটের ডিনার টেবিলে আমাকে চিনে ফেলেন জনৈক এক ভারতীয় সাংবাদিক। তিনি জোরে নাম ধরে ডাকতেই শোরগোল পড়ে যায়। চারিদিক থেকে লোক জড়ো হয়ে আমাকে ঘেরাও করে ফেলে। বিল মিটিয়ে পালানোর চেষ্টা করতে গেলে হোটেলের ম্যানেজার বিল নিতে অস্বীকার করেন। আমার মনে আছে, তিনি বলেছিলেন, আপনার মত আগ্রাসী মানসিকতার একজনকে চাই যে পাকিস্তান দলের নেতৃত্ব দেবে।"



"ফুড স্ট্রিট থেকে মাঝরাতে গাড়িতে হোটেলে ফেরার পথে আরও বিপত্তি। আমাদের গাড়ির পিছনে সারি সারি বাইক আর তাদের চিত্কার। শেষ পর্যন্ত নিরাপদে টিম হোটেলে ফিরে আসি। কিন্তু খবরটা পৌঁছে গিয়েছিল প্রেসিডেন্ট মুশারফের কাছে। তাই তিনি ফোন করে বলেছিলেন, পরের বার কোথাও টিম হোটেল থেকে বেরোলে নিরাপত্তারক্ষীদের জানিয়েই যেন যাওয়া হয়। পাকিস্তানে মাঝরাতে অ্যাডভেঞ্চার যেন না করি ।"


মাঝরাতে পাকিস্তানে ছদ্মবেশে কাবাব খেতে যাওয়ার রোমাঞ্চের থেকে ওয়াসিম আক্রামের ইন কাটার সামলানো অনেক সহজ বলেই মত মহারাজের।


আরও পড়ুন- কোহলি-ধোনি বিশ্রামে, শ্রীলঙ্কায় তরুণ দল ভারতের