নিজস্ব প্রতিবেদন- নিজের বউকে তিনি আলমারিতে লুকিয়ে রেখেছিলেন। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি ঘটনা। ২১ বছর আগেকার ঘটনার কথা স্বীকার করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন তারকা সাকলাইন মুস্তাক। ১৯৯৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে পাকিস্তানের রানার্স হওয়ার পেছনে তাঁর ভূমিকা ছিল। কিন্তু সেবার একখানা কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন পাকিস্তানের এই অফস্পিনার। এত বছর তা নিয়ে কাউকে কোনো কথা বলেননি। ক্রিকেট জীবনে এই কথা স্বীকার করলে হয়তো তাঁকে বডসড় শাস্তির মুখে পড়তে হত। কিন্তু এখন তিনি অবসর নিয়েছেন। তাই অজানা কথা শেয়ার করছেন। সেবার ফাইনাল ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছিল পাকিস্তান। বিশ্বকাপ জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েও হতাশ হতে হয়েছিল মুস্তাকদের। সেই ক্ষত এখনো দগদগে রয়েছে সাকলাইনের মনে। তবে পুরনো অনেক স্মৃতি রয়েছে তাঁর মনে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দুদশক আগেকার সেই ঘটনা এতদিনে স্বীকার করে নিলেন সাকলাইন। সেবার বিশ্বকাপের শুরুতে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের পরিবারের সদস্য তথা স্ত্রী-সন্তানদের একসঙ্গে রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই টুর্নামেন্টের মাঝপথে পরিবারের লোকজনদের দেশে পাঠানোর নির্দেশ দেয় পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট। সাকলাইন বলেছেন, ''১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর মাসে আমি বিয়ে করেছিলাম। ১৯৯৯ সালে বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়। ওই বছরই আমি স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে শুরু করি। কারণ আমার স্ত্রী তখন লন্ডনে থাকত। দিনের বেলা হাড়ভাঙ্গা অনুশীলন করতাম। আর সন্ধ্যার সময় স্ত্রীর সঙ্গে সময় কাটাতাম। এটাই অভ্যাস হয়ে উঠেছিল। কিন্তু হঠাৎ করে টিম ম্যানেজমেন্ট বলল স্ত্রীদের সঙ্গে রাখা যাবে না। আমি কোচ রিচার্ড পাইবাসকে বললাম, সব তো ঠিকই আছে। তাহলে এমন সিদ্ধান্তের কারণ কী! আসলে আমি বিনা কারণে কোনো কিছুর পরিবর্তনে বিশ্বাস করি না। তাই ঠিক করেছিলাম দলের ওই সিদ্ধান্ত মানব না।'' 


আরও পড়ুন-  ‘থ্রি ডব্লিউ’-র শেষ কিংবদন্তিও চলে গেলেন, ক্রিকেটের বড় ক্ষতি


স্ত্রীকে সঙ্গে রাখলে কারো না কারোর নজরে পড়ে যাওয়ার কথা। পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিনার বলছিলেন, ''টিমের ম্যানেজার, কোচ ও অন্যান্য অফিশিয়ালদের স্ত্রীকে দেখে ফেলার ভয় ছিল। তাছাড়া ক্রিকেটাররাও আড্ডা দিতে আসত রুমে। আমার রুমের দরজায় টোকা পড়লেই স্ত্রীকে আলমারিতে লুকিয়ে ফেলতাম। এভাবে অনেকদিন আমার স্ত্রী আলমারিতে লুকিয়ে থেকেছে। একদিন আজহার মাহমুদ, ইউসুফ ইউহানা রুমে এল। ওরা সন্দেহ করছিল যে আমার স্ত্রীর রুমে আছে। তারপর ওরা ভরসা দিতে স্ত্রীকে আলমারির বাইরে বেরিয়ে আসতে বললাম। ফাইনাল ম্যাচে হারের পর স্ত্রীকে লন্ডনের অ্যাপার্টমেন্টে চলে যেতে বলেছিলাম। কারণ তখন দলের সবার মনের অবস্থা ভাল ছিল না।''