নিজস্ব প্রতিবেদন: খেলাটা যখন হচ্ছে শেয়ানে-শেয়ানে তখন এটাই প্রত্যাশিত। কাম্য না হলেও এই ছবিগুলো দেখে অবাক হওয়ারও কিছু নেই। দল জিতলে ধূপ-ধুনো দিয়ে পুজো হবে, আর হারলে বিপক্ষের শ্লেষে ক্ষতবিক্ষত হতে হবে, এটা এখন প্রত্যেক পেশাদাররাই জানেন। আর বিরাট কোহলির মতো ক্রিকেটাররা তো এই শিক্ষার প্রফেসর। আর সে কারণেই এজবাস্টনে আগ্রাসী বিরাটের শরীরী ভাষায় বিরল ছাপ রাখল উদাসীনতা। হয়ত এমনটাও হতে পারে, জবাবটা ব্যাটে দেবেন বলেই সব হজম করে নিচ্ছেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- বিরাটকে চাপে ফেলতে ইংল্যান্ড কোচের নতুন স্ট্র্যাটেজি!



ঘটনাটা দিন তিনেক আগের। এজবাস্টন টেস্টের চার নম্বর দিন। বার্মিংহ্যামের আকাশ তখন মেঘলা দশা কাটিয়ে একেবারে রোদ ঝলমলে। ভারতের চাই রান, আর ব্রিটিশদের চাই উইকেট। একটাই উইকেট। কোহলির উইকেট। শেষমেশ লাঞ্চের আগেই স্টোকসদের শিকারে এল ভারতের শেষ পাঁচ উইকেট। ফিফটি-ফিফটি ম্যাচ পকেটে পুড়ে নিয়ে উল্লাস জো রুটদের। গ্যালারি-তে তখন চিল চিত্কার। হয়ার ইজ ইয়র কোহলি গন/উই হ্যাভ জিমি অ্যান্ডারসন...। ‘বার্মি আর্মি’-দের (বার্মিংহামের ইংরেজ ফ্যানরা যে নামে পরিচিত) এই চিত্কার আরও বাড়ল এজবাস্টন স্টেডিয়ামের বাইরে। রক্তাক্ত বিরাট তখন তার দলবল নিয়ে টিম বাসে উঠবেন। শুনতে পেলেন কি, ইংরেজদের এই শ্লেষ? বাইরে থেকে দাঁড়িয়ে বোঝার কোনও উপায় নেই, তবে এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল কোহলির শক্ত চোয়াল দেখে- লর্ডসের লড়াইটা আরও জোরদার হবে।



১৪৯ আর ৫১। কোহলি বনাম অ্যান্ডারসন ডুয়েলে  দুই ইনিংসে ২০০ করে এজবাস্টনে এগিয়ে ভারত কপ্তান। তবে অ্যান্ডারসনও বুঝিয়ে দিয়েছেন ঘরের মাঠে তিনিই বাঘ। একবার শিকার হাতছাড়া হয়েছে বলে বারেবারে ক্যাচ ফসকাবে না।


আরও পড়ুন- পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন সৌরভ?


‘সচিনের ভূত তারা করছে, রাতের স্বপ্নেও বেধড়ক ঠেঙাচ্ছেন সচিন’- নির্দিধায় একথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন অজি কিংবদন্তী শেন ওয়ার্ন। হুবুহু এক না হলেও অ্যান্ডারসনের স্বপ্নটাও কিন্তু একেবারে কাছাকাছি-ই। ‘রাতে স্বপ্ন দেখেছি, কোহলির উইকেট নিয়েছি’! এজবাস্টনে এই স্বপ্ন সফল হয়নি জিমির। সামনে এবার ভারতের পয়া মাঠ লর্ডস। এখানেই শেষবার টেস্ট জিতেছিল ধোনির ভারত। সেখানে কি স্বপ্ন পূরণ হবে অ্যান্ডারসনের? নাকি, স্লোগানটা উল্টে হয়ে যাবে, হয়ার ইজ জেমস অ্যান্ডারসন গন/উই হ্যাভ বিরাট কোহলি...। অন্যদিকে কোহলির কাছেও এটাই শ্রেষ্ঠ সুযোগ, দিলীপ বেঙ্গসরকর-কে ‘রিপ্লেস’ করে ‘লর্ডসের লর্ড’ হয়ে ওঠার।