শুক্রবার ISL-র দ্বিতীয় ডার্বি। এগিয়ে কে? উত্তর খুঁজল জি ২৪ ঘন্টা
এই ম্যাচ জিততে পারলে লিগ শীর্ষে থেকে আইএসএল শেষ করার দিকে অনেকটাই এগিয়ে যাবে মোহনবাগান। অপরদিকে ইস্টবেঙ্গলের লক্ষ্য হচ্ছে ডার্বি জিতে সমর্থকদের মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফোটানো।
নিজস্ব প্রতিবেদন - শুক্রবার আইএসএলের মহারণ। মুখোমুখি হচ্ছে এটিকে মোহনবাগান ও এসসি ইস্টবেঙ্গল। লিগের দৌড়ে লাল-হলুদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে সবুজ-মেরুন। ১৭ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ শীর্ষে হাবাস ব্রিগেড, অপরদিকে ১৭ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে ফাওলারের ছেলেরা।
শুক্রবারের মহারণ দুই দলের কাছে আলাদা আলাদা কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচ জিততে পারলে লিগ শীর্ষে থেকে আইএসএল শেষ করার দিকে অনেকটাই এগিয়ে যাবে মোহনবাগান। সেক্ষেত্রে পরের মরসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অংশগ্রহণ করার সুযোগও পাবে তারা। অপরদিকে ইস্টবেঙ্গলের লক্ষ্য হচ্ছে ডার্বি জিতে সমর্থকদের মুখে কিছুটা হলেও হাসি ফোটানো।
গত ২৭শে নভেম্বর আইএসএলের প্রথম ডার্বিতে মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। আইএসএলের ইতিহাসের প্রথম ডার্বিতে উত্তেজনার পারদ চড়েছিল চরমে। ২-০ ব্যবধানে সেই ম্যাচে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে হারায় এটিকে মোহনবাগান। তবে এবারের ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনা কিছুটা হলেও কম। ইস্টবেঙ্গলের হতশ্রী পারফরম্যান্সে স্বাভাবিক কারণেই বিমর্ষ লাল-হলুদ জনতা। এর উপর নির্বাসনের কারণে বেঞ্চে থাকতে পারবেন না কোচ রবি ফাওলারও। তাঁর জায়গায় থাকবেন সহকারি কোচ টনি গ্রান্ট। উল্টোদিকে এটিকে মোহনবাগান মাঠে চরম দাপট দেখালেও মাঠের বাইরে অন্য সমস্যা তৈরী হয়েছে। ক্লাবের নামের আগে এটিকে নাম সরানোর দাবীতে গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি বার্ষিক সাধারণ সভার বাইরে বিক্ষোভ দেখান বহু মোহন সমর্থক। তারাও এই ডার্বি নিয়ে কতটা আগ্রহী সেটা নিয়েও থাকছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন - IPL 2021: দেখে নেওয়া যাক নিলামে কাদের জন্য ঝাঁপাতে পারে কলকাতা
তবে ফুটবলের এই ডার্বি চিরকালই সমর্থকদেরই মনে আশা-আশঙ্কার সঞ্চার করে। এই ডার্বির কারণেই বাংলার ফুটবল এখনও বেঁচে। তাই সমর্থকদের নানা কারণে রাগ থাকলেও এই ম্যাচ থেকে তারা মুখ ফিরিয়ে বসে থাকতে পারবেন না।
শুক্রবারের ডার্বিতে কারা এগিয়ে?
কোচের মগজাস্ত্র – কোচের লড়াইয়ে এগিয়ে থেকেই শুরু করবেন হাবাস। আইএসএলে তাঁর কোচিংয়ের দীর্ঘ অভিজ্ঞতাই হাবাসকে এগিয়ে রাখবে। অপরদিকে টনি গ্রান্ট বসবেন লাল-হলুদের কোচের চেয়ারে। ফাওলারের অভাবে তিনি কতটা খেলোয়াড়দের চাগাতে পারবেন তাঁর উপরই নির্ভর করবে তাদের ভাগ্য।
দুই দলের শক্তি – দল হিসেবেও খানিকটা এগিয়ে থেকেই শুরু করবে সবুজ-মেরুন। আক্রমণে ডেভিড উইলিয়ামস, রয় কৃষ্ণ, মনবীর সিংয়ের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মার্সেলিনহো। নিঃসন্দেহে, এবারের লিগের সবথেকে ভালো আক্রমণভাগ। অপরদিকে, ব্রাইট এলেও লাল-হলুদের আক্রমণভাগ নিয়ে খুব বেশী আশাবাদী হওয়া যাচ্ছে না। গোল করার লোকের অভাবে প্রথম থেকেই ভুগেছে ইস্টবেঙ্গল।
মাঝমাঠে মোহনবাগানে এডু গার্সিয়া না থাকলেও কার্ল ম্যাকহিউ, প্রনয়, লেনিরা ভরসা যোগাচ্ছেন। লাল-হলুদে স্টেইনম্যান ও পিলকিংটনের উপরই প্রধান ভরসা করতে হবে। মাঘোমারও রয়েছে ধারাবাহিকতার অভাব।
রক্ষণেও এগিয়ে থাকবে বাগানই। ইতিমধ্যেই ১০টি ম্যাচে ক্লিনশিট রেখেছে তারা। তিরি, সন্দেশ, শুভাশিস, প্রবীর ও গোলে অরিন্দম ভট্টাচার্যকে নিয়ে তৈরী ডিফেন্স চিন্তার কারণ অনেক ফরওয়ার্ড লাইনেরই। অপরদিকে ড্যানি ফক্সদের ডিফেন্স ২২টি গোল খেয়েছে এই টুর্নামেন্টে।
সবমিলিয়ে এটিকে মোহনবাগান ফেভারিট হিসেবে শুরু করলেও ঐতিহ্যের ডার্বিতে কেউই এগিয়ে শুরু করে না। এই ম্যাচ নিয়ে ভবিষ্যতবাণীও করা যায়না। তাই আরও একটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখার জন্য শুক্রবার সন্ধ্যায় টিভির পর্দায় চোখ রাখবেনই দুই দলের সমর্থকরা।