নিজস্ব প্রতিনিধি : অনূর্ধ্ব ২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ৪০০ মিটার ইভেন্টে সোনা জিতে গোটা দেশের কাছে পরিচিত নাম হয়ে উঠেছেন আসামের হিমা দাস। তবে এতদিন পর্যন্ত ভারতীয় অ্যাথলেটিক্সে তিনি মোটেও চেনা নাম ছিলেন না। আর সে জন্যই আসামের নগাঁও জেলার ঢিং গ্রাম থেকে উঠে এসে ফিনল্যান্ডে সোনা জয়ের রাস্তাটা সহজ ছিল না হিমার। কিন্তু তিনি পেরেছেন। অদম্য জেদ আর মানসিক শক্তির উপর ভর করে তিনি বিশ্বজয় করে ফেলেছেন। জেনে নেওয়া যাক দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে ইতিহাস সৃষ্টিকারী হিমা সম্পর্কে কিছু না জানা কথা-


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  হিমার হাত ধরে ৪০০ মিটার দৌড়ে প্রথম সোনা জয় ভারতের


১. ফিনল্যান্ডের ট্যাম্পেয়ারে নামার আগে কিছুটা টেনশনে ছিলেন হিমা। এবং ৪০০ মিটারের ইভেন্টে নেমে শুরুতে বেশ শ্লথ হয়ে পড়েছিলেন। শেষ ৮০ মিটারে হিমা গতি বাড়িয়ে ফেলেন প্রচণ্ডরকমভাবে। হিমার কোচ নিপন দাসও বলছিলেন, হিমার শেষ ল্যাপে এই গতি বাড়ানোর ক্ষমতার কথা। 


২. ১৮ বছর বয়স হিমার। মাত্র দুবছর আগে তিনি প্রথম স্পাইক পরে ট্র্যাকে ছুটেছিলেন। তার আগে খেলার কোনওরকম সরঞ্জাম তাঁর কাছে ছিল না। 


৩. হিমার বাবা রঞ্জিত্ দাস পেশায় একজন চাষী। ঢিং গ্রামে তাঁর বাবা মূলত ধান চাষ করেন। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে হিমা সবার থেকে ছোট। 


৪. খেলার দুনিয়ায় হিমার পা রাখা কিন্তু ফুটবলার হিসাবে। বাবার চাষের জমির পাশের মাঠে হিমা পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে ফুটবল খেলতেন জমিয়ে। তখনই স্থানীয় এক কোচ প্রথম হিমার দুরন্ত গতি লক্ষ্য করেন। তিনিই প্রথম হিমার প্রতিভা তুলে আনার চেষ্টা করেছিলেন। তার পর হিমা গুয়াহাটিতে কোচ নিপন দাসের তত্ত্বাবধানে ট্রেনিং শুরু করেন।


৫. ফিনল্যান্ডে ৪০০ মিটার ইভেন্টে ৫১.৪৬ সময় করেছেন হিমা। তবে এটাই তাঁর ব্যক্তিগত সেরা সময় নয়। এর আগে জাতীয় আন্তঃরাজ্য চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি ৫১.১৩ সেকেন্ড সময় করেছিলেন। এর আগে গোল্ড কোস্ট কমওয়েলথ গেমসে অনূর্ধ্ব ২০ বিভাগে ভারতীয় হিসাবে তিনি সেরা সময় (৫১.৩২) করে রেকর্ড করেছিলেন। যদিও ইভেন্টে তিনি ষষ্ঠ হয়েছিলেন।