নিজস্ব প্রতিনিধি : এক ভদ্রলোক বলে চলেছেন, ''উইকেট কেমন হবে সেটা আমরা ঠিক করতে পারি। আমরা যেমন চাইব উইকেট তেমন হবে।'' সমস্ত কথা যে রেকর্ড হচ্ছে সেদিকে হুঁশ নেই তাঁর। অবলীলায় সেই ম্যাচ ফিক্সার স্বীকার করে চলেছেন অপকর্মের কথা। আর স্টিং অপারেশন চালাচ্ছেন উল্টোদিকে বসা এক সাংবাদিক। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুনচেন্নাই-হায়দরাবাদ হাইভোল্টেজ ফাইনাল, জেনে নিন দু'দলের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য


আরও একবার ক্রিকেটের কালো দিক উঠে এল প্রকাশ্যে। স্টিং অপারেশনে জনপ্রিয় খেলার অন্ধকার দিক তুলে ধরেছে আলজাজিরা টিভি। 'ফিক্সার' রবিন মরিসের বিষ্ফোরক স্বীকারোক্তির পর ক্রিকেট দুনিয়ায় তোলপাড়। নড়েচড়ে বসেছে আইসিসি। কিন্তু কে এই রবিন মরিস? ভারতের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ কীসের?


রবিন মরিস মুম্বই ক্রিকেটের পরিচিত নাম। স্কুল স্তরে যিনি সারদাশ্রম হাই স্কুলের হয়ে খেলেছেন। কোচ রমাকান্ত আচরেকরের তত্ত্বাবধানে। সেই রমাকান্ত আচরেকর যিনি কিনা আবার সচিন তেণ্ডুলকরেরও ছোটবেলার কোচ। ৪২টা প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছেন মরিস। রান ১৩৫৮। উইকেটে পেয়েছেন ৭৬টা। 


আরও পড়ুন- ফাইনালের আগে আবেগতাড়িত চেন্নাই ক্যাপ্টেন ধোনি


২০০৪ ইরানি কাপে শেষবার প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে দেখা গিয়েছে মরিসকে। সেই ম্যাচে অবশিষ্ট ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ছ'উইকেট পেয়েছিলেন। তবে ম্যাচের মাঝে কাঁধে গুরুতর চোট পান। চোট এতটাই গুরুতর ছিল যে তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচার করতে হয়। মরিসের তখন মাত্র ২৭ বছর বয়স। তার পর দীর্ঘদিন ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন। অবশিষ্ট ভারতের হয়ে সেই ম্যাচে জাহির খান, গৌতম গম্ভীর, আকাশ চোপড়া, পার্থিব প্যাটেলের মতো ক্রিকেটাররা খেলেছিলেন। 


আরও পড়ুন- ম্যাচ ফিক্সড! চাঞ্চল্যকর তথ্যচিত্রে ফের উঠে এল ক্রিকেটের কালো দিক


মুম্বইয়ের হয়ে ২০০৭ এ মরিসকে শেষবার খেলতে দেখা যায়। ওয়েস্ট জোন ইন্টার স্টেট টি-২০ টুর্নামেন্টে। সেই ম্যাচে অজিঙ্ক রাহানের সঙ্গে ওপেন করেছিলেন তিনি। সেই ম্যাচে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন রোহিত শর্মা। এর পর ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগে খেলেন মরিস। কিন্তু তার পর ভারতীয় ক্রিকেট সার্কিটে তাঁকে আর দেখা যায়নি কখনও। মরিসের ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন, ওই সময় তিনি ভাল মাইনের চাকরিও ছেড়ে দিয়েছিলেন হঠাত্ করে। মরিসের এক বন্ধু জানিয়েছন, গত মাসে মুম্বইতে একটি ক্রিকেট কোচিং সেন্টার শুরু করে বাচ্চাদের প্রশিক্ষণ দিতেন 'ফিক্সার' মরিস।