স্বরূপ দত্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজ হয়েই গেল ১৫ জুলাই। আগামী ৫ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে যাচ্ছে অলিম্পিক। এবার রিও অলিম্পিক চলবে আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত। সদ্য ব্রাজিলে হয়ে গিয়েছে ফুটবল বিশ্বকাপ। আবার হতে চলেছে অলিম্পিক। সত্যিই ব্রাজিলে গত ২ বছর ধরে চলছে সত্যিকারের 'স্পোর্টস কার্নিভাল'। আগামী দিনগুলোতে আমরা আপনাদের অলিম্পিকের অনেক খবর দিতে থাকব, যখন যেমন খবর হবে। আজ থেকে অলিম্পিকের বেশ কিছু ছোট ছোট গল্পও শোনাবো। জানতে ভালো লাগবে। আবার মজাও লাগবে। এমন কিছু জিনিস আপনি হয়তো পাবেন, যেগুলো আপনার জানাই ছিল। কিন্তু এটাও তো ঠিক যে, সব জিনিস সবার জানা থাকে না। তাই আপনি জানেন বলে আপনাকে অভিনন্দন আগে থেকে জানানো থাকলো। আর এই লেখাগুলো পড়ার পর থেকে জানবেন যাঁরা, তাঁদেরকেও আগাম অভিনন্দন জানানো থাকলো।


আজ প্রথম দিন। তাই শুরু করি একেবারে বেসিক থেকে। অলিম্পিক মানেই তো আপনার চোখের সামনে ভেসে ওঠে, ওই চিরাচরিত সিম্বল। একটা পতাকার উপর ৫ টা রিং। আর এই পাঁচটা রিং আলাদা আলাদা রঙের। কখনও খেয়াল করে দেখেছেন, ওই রঙগুলো কী কী? হয়তো জানেন। তবুও বলে দিই, রঙগুলো হল - নীল, কালো, লাল, হলুদ এবং সবুজ। কখনও ভেবে দেখেছেন, এই পাঁচটা রিঙের রঙ কেন শুধু এই পাঁচ রঙেরই?


আরও পড়ুন রূপকথার রাজা রোনাল্ডোর গল্প যেভাবে বুড়ো বয়সে নাতিদের কাছে করবেন


আসলে অলিম্পিকের এই সিম্বল বা প্রতীকটির নকশা করেছিলেন, আধুনিক অলিম্পিকের অন্যতম উদ্যোক্তা পিয়েরে দে কোবার্তিন। তিনি ১৯১২ সালে একটি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের উপর এই পাঁচটা রঙের রিং এঁকেছিলেন। ওই পাঁচটা রিং দিয়ে তিনি পাঁচটি মহাদেশ বোঝাতে চেয়েছিলেন। আর নীল, কালো, লাল, হলুদ এবং সবুজ এবং সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে তাঁর ব্যাখ্যাটা দুর্দান্ত ছিল। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, গোটা পৃথিবীতে এমন কোনও দেশ নেই, যাদের জাতীয় পতাকায় এই ছটি রঙের কোনও একটি রঙ অন্তত নেই। অর্থাত্, নিজেই ভেবে দেখুন না, এই পৃথিবীতে একটি দেশেরও কী জাতীয় পতাকা রয়েছে, যার জাতীয় পতাকায় নীল, কালো, লাল, হলুদ, সবুজ এবং সাদা রঙের ব্যবহার নেই? না, পাবেন না।


অলিম্পিক হলো বিশ্বের সবথেকে পুরোনো, বড় এবং সৌহার্দের প্রতিযোগিতা। তাই তার প্রতীকে যে কারণে এই ছটি রঙ ব্যবহার করা হয়েছে, আর তার ব্যাখ্যা শুনে আপনারও ভালো লাগলো না? সব দেশকে নিয়ে এমন দুর্দান্ত প্রতীক অলিম্পিক ছাড়া আর কোথায়ই বা হতে পারে! তাই না?


আরও পড়ুন  সলমন এবং আমির খানকে সুশীল সমাজের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন