ওয়েব ডেস্ক: কাপ জয়ের একেবারে সামনে এসেও পরাজিত বীরের মতই বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম ছেড়েছিলেন বিরাট। ওয়ার্নার হয়ত সেদিন হাসতে হাসতে বলছিলেন 'হাম কিসি সে কম নেহি'। কান্না হাসির অভিব্যক্তিতেই 'চিন্নাস্বামী জয়' করেছিল ওয়ার্নার-বিরাটরা। একজন জিতেছিল মন, অন্যজন মন তো জিতেইছিল সঙ্গে ট্রফিটাও। সেদিন কাঁদছিল দুই দলই। হায়দরাবাদের অশ্রুধারায় লেখা ছিল জয়ের ইতিহাস, আর বেঙ্গালুরুর পরিশেষে লেখা ছিল, 'নিয়তির অন্তিম পরিহাস', এবারও হল না। ২০০৮ থেকে ফাইনালে যাওয়া হয়েছে ঠিকই, আর বার বারই ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হয়েছে। ২০১৬ আইপিএলটাই হয়ত হতে পারত, 'এভাবেও ফিরে আসা যায়'-এই গানের সেরা উদাহরণ। টানা ম্যাচ জিতে সেমিতে। গুজরাট লায়ন্সদের থেকে জয় ছিনিয়ে সোজা ফাইনাল। ফর্মে গেইল-বিরাট-এবিডি। ২০ ওভারে ২০০ রানেরও বেশি টার্গেটের পিছনে যেভাবে তাড়া করছিল বিরাট-গেইল, তাতে মনে হচ্ছিল জয় শুশু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু শেষে ৮ রানের হার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


হারের ময়নাতদন্তে, শেন ওয়াটসনের শেষ ওভারে কাটিংয়ের বিধ্বংসী ব্যাটিং যেমন ছিল, তেমন ১০ ওভারেরে পর বেঙ্গালুরুর মিডিল অর্ডারের তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়াকেও দায়ী করেছেন অনেকে। তবে, বেঙ্গালুরু ফ্যানরা যে কারণ তুলে এনেছেন হারের জন্য, তা একেবারে বাচ্চা সুলভ মনে হলেও ফেলে দেওয়ার নয়! বেঙ্গালুরু ফ্যানরা মনে করছেন, লন্ডন থেকে বেঙ্গালুরু আর হায়দরাবাদের আইপিএল ফাইনাল দেখেছেন বিজয় মাল্য, তাই দল জয়ের পথে থেকেও হেরে বাড়ি ফিরেছে। তাঁদের আরও যুক্তি, গুজরাট ম্যাচেও বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং বিপর্যয় হয়েছিল, কিন্তু জয় ছিনিয়ে নিয়ে এসেছিলেন এবিডি। আর ফাইনালে সেই তুলনায় অনেক সহজ পরিস্থিতে ব্যাটিং তরী ডুবেছে বেঙ্গালুরুর। তাঁরা মনে করছেন বিজয় মাল্য বেঙ্গালুরুর জন্য 'আনলাকি'।