নিজস্ব প্রতিবেদন :  ১৪ জুন রাশিয়ায় শুরু বিশ্ব ফুটবলের মহারণ। ৮টি গ্রুপে ভাগ হয়ে মোট ৩২ দেশের লড়াই। B গ্রুপে ইউরো চ্যাম্পিয়ন পর্তুগালের সঙ্গে লড়াই স্পেন, মরক্কো আর ইরানের।


পর্তুগাল

COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

   


২০১৬ সালে ইউরো কাপজয়ী পর্তুগালকে অনেকেই বিশ্বকাপের ডার্কহর্স বলছেন। ইউসেবিও, ফিগোদের পরবর্তী সময়ে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে ঘিরেই পর্তুগিজদের বিশ্বকাপে যাবতীয় আশা-ভরসা।৩৩ বছরে পৌঁছে যাওয়া সুপার স্টার সিআর সেভেনের এটিই হতে পারে কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। ইউরোজয়ী দলের অনেক ফুটবলারকেই এবার বিশ্বকাপের দলে রাখেননি কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস। তাই গ্রুপে স্পেনের পিছনে থেকে রাউন্ড অব সিক্সটিনে জায়গা করে নিতে পারে রোনাল্ডোর পর্তুগাল এমনটাই মনে করছেন ফুটবল বোদ্ধারা।


স্পেন


ইউরো-বিশ্বকাপ-ইউরো। ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সব বড় আসরে চ্যাম্পিয়ন স্পেন।২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। বর্তমান কোচ জুলেন লোপেতেগুইয়ের অধীনে আবার পুরোনো ফর্মে ফিরছে স্পেন। লা রোজাদের আলোচিত 'দুর্বল' আক্রমনভাগে ভরসার নাম মার্কো আসেনসিও। সেই সঙ্গে দলে রয়েছে বেশ কয়েকটি চেনা মুখ-সের্জিও রামোস, জেরাড পিকে, ইস্কো, ডি গিয়া, ইনিয়েস্তা। মাঝমাঠের অন্যতম স্তম্ভ আন্দ্রে ইনিয়েস্তার সম্ভবত শেষ বিশ্বকাপ এটাই। ২০১০ বিশ্বকাপ ফাইনালে গোল করা ইনিয়েস্তা আরও একবার স্পেনকে চ্যাম্পিয়ন করার লক্ষ্যে।গ্রুপের শীর্ষে থেকেই স্পেন দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।


মরক্কো


আইভরি কোস্ট, গ্যাবন ও মালিকে পেছনে ফেলে আফ্রিকা থেকে বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে মরক্কো। ১৯৯৮ সালের পর প্রথম বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের কোন ম্যাচেই হারেনি তারা। স্পেন এবং পর্তুগালের সঙ্গে পাল্লা দিতে তৈরি এটলাস লায়নরা। মেধি বেনাটিয়া, ইউনিস বেলহান্দা ও হেকিম জিয়েচের মত তারকারা বিশ্বকাপে নিজেদের জাত চেনাতে মরিয়া।


ইরান


এশিয়া থেকে সবার আগে বিশ্বকাপের মূলপর্ব নিশ্চিত করেছে ইরান।বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ১৮টি ম্যাচে অপরাজিত ছিল ইরান। এই নিয়ে পঞ্চমবার বিশ্বকাপের মূলপর্বে অংশ নিতে যাচ্ছে ইরান। কোচ কার্লোস কুইরোজ অবশ্য দলকে নিয়ে নকআউট পর্বে যেতে তৈরি। স্পেন-পর্তুগাল-মরক্কোর সঙ্গে পাল্লা দিতে তৈরি এশিয়ার দেশটি।  


আরও পড়ুন- মহারণের সমীকরণ : গ্রুপ A