Shane Warne: বিশ্বের হটেস্ট ঠাম্মা, ইনিই ওয়ার্নের শেষ প্রেমিকা!
এক ব্রিটিশ দৈনিকে ওয়ার্ন বলেছেন, `বিগত কয়েক মাসে আমি ভেঙে পড়েছি। এই বিশ্ব এক কিংবদন্তিকে হারিয়েছে। আমি হারিয়েছি এক বিশ্বস্ত বন্ধুকে। অবিশ্বাস্য কিছু ঘটে গিয়েছে। আমি শেনকে ডেট করছিলাম। ও চেয়েছিল বিষয়টি ব্যক্তিগত রাখতে। শেন গোল্ড কোস্টে এসেছিল।`
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রয়াত প্রাক্তন অজি কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন (Shane Warne) প্রকৃত অর্থেই ছিলেন বাইশ গজের অত্যন্ত বর্ণময় চরিত্র। স্পিন জাদুকর শুধু অসাধারণ পারফরম্যান্সেই খবরে আসতেন না। নারীঘটিত একাধিক কীর্তিতেও শিরোনামে থাকতেন ওয়ার্ন। যৌন কেলেঙ্কারিও রয়েছে তাঁর ঈর্ষণীয় বায়োডেটায়। বলা যেতে পারে, ওয়ার্ন চেটেপুটে উপভোগ করেছিলেন নিজের রঙিন জীবন। একাধিক নারী ও পর্ন সিনেমার অভিনেত্রীদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ায় ২০০৭ সালে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদও ঘটেছিল ওয়ার্নের। চলতি বছর ৪ মার্চ আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছিলেন ওয়ার্ন। মৃত্যুর চার মাস পর ওয়ার্নের গোপন সম্পর্ক এল সামনে। অনলিফ্যানস (OnlyFans) সেলেব গিনা স্টুয়ার্ট (Gina Stewart) বলছেন যে, মৃত্যুর আগে তাঁর সঙ্গেই গোপনে ডেট করতেন ওয়ার্ন। অজি কিংবদন্তি চেয়েছিলেন যে, তাঁদের সম্পর্ক যেন গোপনে থাকে। ফলে এতদিন ওয়ার্ল্ড'স হটেস্ট গ্র্যান্ডমা (World's Hottest Grandma) নামে খ্যাত মডেল এই সম্পর্ক প্রকাশ্যে আনেননি। ওয়ার্নের মৃত্যুর পরেই মুখ খুললেন তিনি।
এক ব্রিটিশ দৈনিকে ওয়ার্ন বলেছেন, 'বিগত কয়েক মাসে আমি ভেঙে পড়েছি। এই বিশ্ব এক কিংবদন্তিকে হারিয়েছে। আমি হারিয়েছি এক বিশ্বস্ত বন্ধুকে। অবিশ্বাস্য কিছু ঘটে গিয়েছে। আমি শেনকে ডেট করছিলাম। ও চেয়েছিল বিষয়টি ব্যক্তিগত রাখতে। শেন গোল্ড কোস্টে এসেছিল। একটি ক্রিকেট ম্যাচের পর আমাদেরদেখা হয়। সারা রাত এক সঙ্গে কাটিয়ে একে-অপরকে চিনেছিলাম। অত্যন্ত ইন্টারেস্টিং চরিত্র। ওর জীবনের গল্প শুনতে ভালবাসতাম। আমরা অত্যন্ত কাছের হয়ে উঠেছিলাম। আমি শেনকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, প্রকাশ্যে আমাদের কথা বলব না। আমি পাপারাৎজিদের ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকতাম। শেন ও আমি হ্যাট আর সানগ্লাস পরেই বাইরে ঘুরতাম। মেলবোর্নেও আমাদের দেখা হয়। ওকে নিয়ে মিডিয়ার এই কৌতুহল ও একদম পছন্দ করত না। ও চাইত না আমাদের গল্প সামনে আসুক। এই প্রথম আমি আমাদের সম্পর্ক নিয়ে কথা বললাম প্রকাশ্যে। আমি পৃথিবীকে বলতে চাই যে, অত্যন্ত আগলে রাখার মতো মানুষ ছিলেন।'
ওয়ার্নের মৃত্য়ুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল ক্রীড়ামহলে। মৃত্যুর আগে থাইল্যান্ডে নিজের ভিলায় গিয়ে থাকছিলেন তিনি। সেখানেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন ওয়ার্ন। তাঁর জন্ম ১৯৬৯ সালে। বাইশ গজের সর্বকালের সেরাদের মধ্য়ে অন্যতম ছিলেন ওয়ার্ন। ১৫৪টি টেস্টে ৭০৮টি টেস্ট উইকেট নেওয়ার নজির রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। লাল বলের ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিও তিনি। ওয়ার্নের আগে রয়েছেন দ্বীপরাষ্ট্রের কিংবদন্তি মুথাইয়া মুরলীথরন। মুরলীর ঝুলিতে রয়েছে ৮০০ উইকেট। ওয়ানডে ক্রিকেটেও দারুণ সফল ওয়ার্ন। ১৯৪ ম্যাচে ২৯৩টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে ২৮৬৩ উইকেট রয়েছে তাঁর ঝুলিতে।